সারোয়ার হোসেন,তানোর: দীর্ঘদিন দিন ধরে ধর্ষণ মামলায় পালিয়ে আত্নগোপনে থাকা রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার সইপাড়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে মোহনপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজান জেলা জর্জ কোর্টে আত্মসমর্পণ করায় তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
চলতি মাসের( ১০ নভেম্বর) মঙ্গলবার জেলা জর্জ কোর্টে ধর্ষণ মামলায় জামিন চেয়ে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জামিন না মুন্জুর করে সরকারি জেল হাজতে পাঠান বিজ্ঞ আদালত। এতে করে ধর্ষণের দায়ে প্রভাষক মিজানকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পেরন করায় ধর্ষণের শিকার পরিবারের সদস্যরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও ধর্ষণের শিকার পরিবার প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজানের সর্বচ্চ শাস্তি হিসেবে তার ফাঁশির দাবি জানিয়েছেন ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী পরিবার।
সম্প্রতি,(২২জুলাই) মোহনপুর উপজেলার সইপাড়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে মোহনপুর কলেজের প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজানের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন করেন তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের যোগীশো গ্রামের নুর মোহাম্মদ আলীর মেয়ে সেলিমা খাতুন।
ধর্ষণের শিকার সেলিমার পিতা নূর মোহাম্মাদ আলী বলেন,আমার মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করেছেন মিজানুর রহমান মিজান। তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে সেলিমা চলতি বছরের ২২ জুলাই বিয়ের দাবীতে মিজানের বাড়িতে অবস্থান করলে তারা প্রভাব খাটিয়ে মোহনপুর থানায় হস্তান্তর করার কৌশল অবলম্বন করে মোহনপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে পুলিশ দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। সেলিমার পিতা সামাজিকতার স্বার্থে সেলিমা ও মিজানের বিয়ে হোক এটাই আশা করেন। কিন্তু প্রভাষক মিজান তার মেয়ের সাথে অবৈধ মেলা মেশা করে তার মেয়েকে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করে পালিয়ে পালিয়ে থাকেন।
এতে করে আমার মেয়ে বাধ্য হয়ে প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে তানোর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় মিজান দীর্ঘদিন ধরে আত্নগোপনে থেকে সে তার বিভিন্ন আত্নীয় সজন ও তার মামা আওয়ামী লীগের নেতাকে দিয়ে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন প্রকারের হুমকি ধামকি দেয়া সহ মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে আমরা মিজানের হুমকিতে চরম শঙ্কিত হয়ে পড়েছি। আমরা ধর্ষণকারী মিজানুর রহমান মিজানের শাস্তি হিসেবে তার ফাঁশি দাবি জানাচ্ছি।
স্ব.বা/বা