স্টাফ রিপোর্টার: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করে ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ করলেন প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ বাদশা। শনিবার উপজেলার সোনাপুর পাবনাপাড়া গ্রাম থেকে গিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় তিনি বিয়ে করেন।
বর প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ পাবনাপাড়া গ্রামের শিক্ষক মাওলানা নূরুল ইসলামের ছেলে এবং কনে গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়িহাট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট নূহুন নবীর মেয়ে প্রকৌশলী উর্মী আক্তার এনি।
এদিকে মফস্বল গ্রামে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়েকে কেন্দ্র করে এলাকায় কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর ও কনে দুজনেই নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভারসিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) এ পড়ালেখা করতেন। হারুন অর রশীদ বাদশা বর্তমানে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমানবিকে তড়িৎ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
বরের বাবা শিক্ষক নূরুল ইসলাম জানান, ছোটবেলায় আকাশে বিমান উড়তে দেখে তার ছেলের শখ হয়েছিল হেলিকপ্টারে চড়ার। সেই শখ পূরণ করতেই এক লাখ ৫৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে হেলিকপ্টারে বিয়ের আয়োজন করা হয়।
শনিবার দুপুর ১২টায় তার দুই জামাতা ও এক নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে রওনা হন তার ছেলে হারুন অর রশীদ। আর বরযাত্রীদের কনের বাড়িতে মাইক্রোবাসে পাঠানো হয়।
এদিকে আগামীকাল রোববার বরের বাড়িতে বউভাতের আয়োজন রয়েছে। বরের সঙ্গে হেলিকপ্টার যাত্রী আফছানা খাতুন জানান, হেলিকপ্টারে চড়ে মামার সঙ্গে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে ব্যতিক্রম অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
বরযাত্রী দয়ারামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুর ইসলাম মিঠু বলেন, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনা তার এলাকায় এটিই প্রথম। তার জানামতে এর আগে বাগাতিপাড়া উপজেলায় এমন যানে গিয়ে বিয়ের ঘটনা ঘটেনি।
বর প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ বাদশা বলেন, আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার। সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হলো।
স্ব:বা/না