স্টাফ রিপোর্টার: তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি প্রকৌশলী এনামুল হকের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আয়েশা আক্তার লিজা। তার দাবি, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আমার নামে মামলা দিয়ে আমাকে প্রভাব খাটিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর একটি রেস্টুরেন্টে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিজা বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র আমার বৈধ স্ত্রীর অধিকার পাওয়ার আশায় আমাদের বিবাহের কাগজ ও কিছু দাম্পত্য জীবনের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলাম, যেনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি অর্জনের মাধ্যমে আমি সুবিচার পায়। পরবর্তীতে এমপি’র কথামতো আমি ফেসবুক থেকে সেসব ছবি সরিয়ে ফেলি কিন্তু তিনি তার কথা রাখেননি। তিনি নিজে মামলা না করে তার পিএসকে দিয়ে একটি অবান্তর চাঁদাবাজির মামলায় অভিযুক্ত করেন যা একেবারেই ভিত্তিহীন।’
বুধবার আদালত থেকে বের হয়ে লিজা সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বামী (এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক) মিথ্যা মামলা করেছেন। আমি একজন রানিং (চলতি) এমপির বাসায় গিয়ে চাঁদা দাবি করলাম। তিনি আমাকে পুলিশে না দিয়ে, তার এতো লোকবল, এতো জনবল। উনি একজন পাওয়ারফুল (ক্ষমতাশীন) এমপি। আমি কি তার চেয়ে বেশি ক্ষমতাশীল মানুষ। যে তার কাছে চাঁদা দাবি করবো?
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কি করবো, কোথায় যাবো, যেটা বুঝতে ছিনা (পারছিনা)। আজকে আট মাস যাবত আমাকে মিথ্যে মামলায় হ্যারেজমেন্ট (হয়রানি) করা হচ্ছে। তিনি আমাকে বলেছিলেন, তুমি ফেসবুক থেকে সমস্ত কিছু সরিয়ে ফেলো। তুমি লেখো আমাদের মধ্যে সমাধান হয়ে গেছে। আমি তোমার মামলা তুলে নিবো। আমি তার কথা অনুযায়ি ফেসবুকে লেখে ছিলাম। আমাদের মধ্যে সমাধান হয়ে গেছে। এখন উনি আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হ্যারেজম্যান্ট (হয়রানি) করছেন।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দিয়ে আলোচনায় আসেন আয়শা আক্তার লিজা। এ নিয়ে সংবাদ প্রচার হলে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে পড়ে। গত ৫ জুন এমপি এনামুলের এপিএস আসাদুজ্জামান ওই মামলাটি করেন।
স্ব:বা/না