কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে কোন অনিয়ম হলে খতিয়ে দেখবে প্রশাসন

রাজশাহী
নাটোর প্রতিনিধিঃ সরকারের মূল লক্ষ্য কাজের বিনিময়ে খাদ্য এবং উন্নয়ন মূলক কাজের সম্প্রসারন।
এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য ও অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান ৪০ দিনের কর্মসূচির (ইজিপিপি) কাজ চলছে।এই কর্মসূচিতে জামনগরর ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডে ৫ টি টিমে বিভিক্ত হয়ে ২০৩ জন শ্রমিক কাজ করছে।ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন কাঁচা রাস্তায় ড্রেসিং ও মাটি ভরাটের কাজ করছেন শ্রমিকেরা। ফলে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজের পাশাপাশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হচ্ছে।
৪০দিনের কর্মসূচীতে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, এই অসময়ে কাজ পেয়ে তারা পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে পারছেন। তাদের দাবি ২০০ টাকা থেকে ২৫ টাকা ব্যাংক সঞ্চয়ের নামে কেটে রাখছে । এই বাজারে ১৭৫ টাকা দিয়ে কি হয়? তাই সরকারের কাছে তাদের দাবি ৫০০ টাকা করে মজুরি প্রদানের। আর এই কাজের কর্মসূচির শেষে এই সঞ্চয়ী টাকা ফেরত চান শ্রমিকরা।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বাগাতিপাড়া জামনগর শাখার ম্যানেজার মোঃ আবু তৈয়ব এবিষয়ে জানান, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির কাজে নিয়োজিত যারা আছে তাদের প্রতিদিনের কাজের টাকা উত্তোলনের জন্য ইউএনও স্যার ও বাগাতিপাড়া দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তার সাক্ষরিত জব কার্ডের মাধ্যেমে ব্যাংক তাদের ২০০ টাকা থেকে ২৫ টাকা সঞ্চয় হিসাবে রেখে ১৭৫ টাকা দেয়। আগামিতে ৫০ টাকা সঞ্চয় হিসাবে রেখে ১৫০ টাকা দেওয়া হবে। তবে কর্মসূচির কাজ শেষে তারা এই সঞ্চয়ের টাকা উঠাতে পারবেন। এতে করে তাদের সংসার খরচ সহ সঞ্চয় বাড়ছে।এর সাথে চেয়ারম্যান বা মেম্বারের কোন সম্পৃক্ততা নেই। ইউএনও নিজেই এই কাজের নজরদারি করছেন বলেও জানান তিনি।
উপজেলার জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ৪০ দিনের কর্মসূচি দুই শিপ্টে কাজের ৮০ দিনের হয়। জামনগরের কাঁচা রাস্তার সংস্কার করার জন্য জামনগরর ইউনিয়নে ১-২, ৩-৪, ৫-৬ ও ৭-৮-৯ এইভাবে ৯টি ওয়ার্ডে ৫ টি টিমে বিভিক্ত হয়ে ৩৫, ৪০ এবং ৪৫ জনে একটি করে টিমে মোট ২০৩ জন শ্রমিক কাজ করছে। এই কর্মসূচির টাকা ব্যাংকের মাধ্যেমে জব কার্ড দিয়ে উত্তোলনের করেন শ্রমিকরা। এখানে কোন অনিয়ম  বা দুর্নীতি নেই। এমনকি চেয়ারম্যান বা মেম্বারদের এই কজে কোন সম্পৃক্ততা নেই।
বাগাতিপাড়া দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, এই কর্মসূচির জামনগর ইউপিতে ৫টি প্রজেটে কাজ চলছে । তিনি নিজে হাজিরা খাতায় হাজিরা নেন যদি কোন শ্রমিক অনুপস্থিত থাকে তাহলে তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়। এখানে কোন অনিয়ম হয়না।
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াঙ্কা দেবী পাল জানান, জামনগর ইউপির ৪০দিনের কর্মসূচির যে অভিযোগ ছিল তা আমরা খতিয়ে দেখেছি, সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথাও বলেছি ওই কাজে অনুপস্থিত কাউকে পাওয়া যায়নি।যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা ঠিকমত কাজ করছে। তাদের উপজেলা থেকে ব্যাংক একাউন্টে টাকা দেওয়া হয় এবং তারা নিজস্ব একাউন্ট থেকে টাকা উত্তলন করেন।
ইউএনও আরও বলেন, গতবছর থেকে দৈনিক ২০০ টাকার মধ্যে ২৫ টাকা করে সঞ্চয় হিসেবে রাখা হত সেটা কর্মসূচির কাজ শেষে একবারে সেই টাকা তারা নিজেরাই তুলে নিত। তবে এবার থেকে একটু পরিবর্তন এসছে ২০০ টাকার মধ্যে ৫০ টাকা তারা সঞ্চয় বা ব্যাংকে জমা রাখছে, কাজ শেষে হওযার পরে যে যতদিনের কাজ করছে তাকে ৫০ দিয়ে গুণ করলে যা হবে তা তারা ব্যাংক থেকে তুলে নেবে। আসলে এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। যদি কোন অনিয়ম হয় তাহলে তা খতিয়ে দেখবে প্রশাসন।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *