বদলি হয়েও করছেন অফিস নোর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলাতে একই পদে দুই কর্মকর্তার অফিস করা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে বর্তমান দেশের আইন ব্যবস্থা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য ও বইছি সমালোচনার ঝড়। অন্যদিকে বাঘমারা উপজেলায় বদলি হওয়ার পরেও বদলিকৃত নিজ কর্মস্থলে না গিয়ে বহু তবিয়তে প্রতিনিয়ত তানোর উপজেলা প্রশাসনের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন জোর করে অফিস করছেন। যার ফলে জনসাধারণের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুনের খুঁটির জোর কথাই বলে।
অথচ নওগাঁর রানীনগর উপজেলা থেকে তানোরে সদ্য বদলি হয়ে এসে নতুন কর্মকর্তা মাহামুদা প্রতিদিন নিয়মিত অফিস করলেও তাকে কোন কাজ করতে দিচ্ছেন না বদলি হওয়া কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন। এমনকি বদলি হওয়া কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন  নতুন কর্মকর্তা মাহামুদাকে দায়িত্ব পালন করতে চার্জ বুঝে দিচ্ছেন না। এতে করে উপজেলা প্রশাসনের এমন চাঞ্চল্যকর কান্ডে এলাকা জুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। সেই সাথে দ্রুত বদলি হওয়া মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুনকে তার নতুন কর্মস্থলে পাঠানোর দাবি  উঠেছে।
এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা পরিষদের মহিলা বিষয়ক দপ্তরে। জানা গেছে, উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের আগের কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুনকে বদলি করে সেই পদে আরেক কর্মকর্তা খন্দকার মাক্বামাম মহমুদাকে দেয়া হলেও রহস্য জনক কারণে একই পদে দুই কর্মকর্তা অফিস করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রোগ্রামে নতুন কর্মকর্তা মাহামুদাকে ছাড়াই নিজের ইচ্ছে মত সবকিছু করছে ফাতেমা খাতুন।
এতে করে দুই কর্মকর্তার একই অফিস করা দেখে উপজেলা পরিষদ জুড়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে সমালোচনার ঝড়। সেই সাথে সদ্য বদলি হওয়া কর্মকর্তা ফাতিমা খাতুন বাগমারা না গিয়ে জোর করে অফিস করা নিয়ে উপজেলা পরিষদ জুড়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ। গুঞ্জন উঠেছে একজন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সরকারি নির্দেশ অমান্য করে জোর করে কি করে অফিস করেন। তার খুঁটির জোর কথাই? কে তার মাথার ছাতা? আর কেনোই বা তিনি তানোর ছেড়ে যেতে চাচ্ছেন না তা নিয়ে জনমনে নেতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও অফিসে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *