নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোর সদর হাসপাতালে মৃত সন্তান জন্মানোর পরে হাসপাতালের ইয়োলো জোন শিশু ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের জানালার সানসেটের ওপর ফেলে দেয় ও নবজাতকের মা সুইটি। সেখান থেকে নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। পরে তারা সুইটি নামে প্রকৃত ভিকটিমকে সনাক্ত করে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, শুক্রবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের লোকজন শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডের জানালার কার্ণিশে এক নবজাতকের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। এসময় ওই ওয়ার্ডে কর্মরত সেবিকাদের কাছে জানতে চাইলে তারা কিছুই জানেনা বলে জানায়।
পরে চিকিৎসকেরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ আসার পর মরদেহ উদ্ধারের পর তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে ওই মেসিডিন ওয়ার্ডে সুইটি নামে চিকিৎসাধীন মহিলা সন্তানটি তার বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।
হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ আনসারুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গত দুদিন আগে মানসিক সমস্যা নিয়ে সুইটি নামে ওই মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। গত রাতের কোন এক সময় তিনি টয়লেটে যায়। সেসময় তার মৃত শিশুর জন্ম হলে হয়ত সে জানালা দিয়ে বাহিরে ফেলে দেন। ঘটনাটি তদন্ত পুর্বক দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য দায়িত্বরত সেবিকাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক তদন্তে সুইটি নামে ওই মহিলা ৫ মাসের অন্তসত্বা ছিলো। রাতে পেটের যন্ত্রনা শুরু হলে সে প্রকৃতির কাজ সারতে টয়লেটে যায়। সেখানে গিয়ে মৃত নবজাতকের জন্ম হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নবজাতকের মরদেহ বিধি অনুযায়ী পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হবে।