স্টাফ রিপোর্টরঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসদার হোসেনের বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অনিয়ম-দুর্নীতির ষোলকলার অভিযোগ উঠেছে। চলতি মাসের (১৭ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্কুলের ৬বারের সফল সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসদার হোসেন নিজের ইচ্ছে মত নিয়মবহির্ভূত ভাবে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরি করে স্কুলের অর্থ নয়ছয় করা সহ নিজের ইচ্ছে মত মনগড়া ম্যানেজিং কমিটির এডহক কমিটি তৈরি করে নিজ ইচ্ছে মত স্কুল ফান্ডের অর্থ নিজের কাছে রেখেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি আগের ম্যানেজিং কমিটির কাছে স্কুলের কোন হিসাব না দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিজেই জিয়াউল হক পাখী নামের নিজস্ব ব্যাক্তিকে সভাপতি করে মনগড়া কমিটি তৈরি করে অনিয়ম-দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক মাসদার হোসেন।
এমনকি একজন প্রধান শিক্ষক হয়ে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের সামনেই ধুমপান করা সহ ছাত্র ছাত্রীদের সাথে প্রায় সময় কারনে অকারণে অসদাচরণ করেন। এতে করে প্রধান শিক্ষকের এমন অসদাচরণের জন্য ও স্কুলের অর্থ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে চলতি মাসের ৮/১২/২০২০ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য গোলাম মোস্তফা ও শিক্ষক প্রতিনিধি এনামুল হক নিজ ইচ্ছায় পদত্যাগ করেন। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
এবিষয়ে হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসদার হোসেনের সাথে কথা বলা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,কে অভিযোগ দিলো আর বা দিলো তা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই, আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলের টাকা আমি খরচ করবো না তো কে করবে। স্কুলের টাকা আমার কাছে আছে সময় হলে স্কুলে জমা দেয়া হবে বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন তিনি।
এবিষয়ে স্কুলের সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি ওই স্কুলের ৬বারের সভাপতি অথচ কোনদিন সভাপতির দায়িত্ব কি বুঝতে পারিনি, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কোনদিন কমিটিকে হিসাব নিকাশ নিয়ে বসে নি,তিনি নিজের ইচ্ছে মত তার ব্যাক্তিগত লোক দারা সবকিছুই পরিচালনা করে যাচ্ছেন, তাই সভাপতি থেকে কি করবো, তাই নিজেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি বলে তিনি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।