তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না বিলকুমারী বিলে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন ও বন্য পাখির মৃত্যু। উপজেলা মৎস্য অফিসের শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে তানোর বিলকুমারী বিলে অবৈধ ভাবে চলছে মাছ নিধনের মহোৎসব। এতে করে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারাচ্ছে অন্যদিকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করে চলছে মহোৎসব।
এমনকি এই বিষ প্রয়োগের ফলে বিলকুমারী বিলে আশা বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি হরহামেশাই মৃত্যুবরণ করেছেন। সেই সাথে আশপাশ গ্রামের মানুষের হাস পর্যন্ত মরে বিলে পড়ে থাকছে। অথচ নীরব ভূমিকায় রয়েছে তানোর উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার কুঠিপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে আলিম,নজের আলীর ছেলে রবিউল ও শমসের ছেলে জমশেদ আলী দীর্ঘদিন ধরে তারা বিলকুমারী বিলে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে আসলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি উপজেলা মৎস্য অফিস। নাম প্রকাশে বিলকুমারী বিলের বেশকিছু মৎস্যজীবীরা বলেন আমাদের পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল এই বিলকুমারী বিল।
আমরা এই বিলে মাছ শিকার করে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু এরা তিনজন আলিম,রবিউল ও জমশেদ আওয়ামী লীগের নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিলকুমারী বিলে বিষ প্রয়োগ করে প্রকাশ্যে মাছ নিধন করে যাচ্ছেন। যদি কেউ তাদের বিলে বিষ প্রয়োগ করতে নিষেধ করেন তাহলে তাদের মারধর করা সহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। যার ফলে কেউ এদের ভয়ে কথা বলতে পারেনা।
সেজন্যই প্রকাশ্যে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করেন এরা তিনজন সহ তাদের বাহিনীরা। এ বিষয়ে আলিম রবিউল ও জমশেদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন আমরা আপনার কথায় জবাব দিতে ইচ্ছুক না। আপনার যা খুশি করার আপনি করতে পারেন বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন । এ বিষয়ে তানোর উপজেলা মৎস্য অফিসের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারীদের না পাওয়ায় তাদের কোনো বক্তব্য মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে জরুরি ভাবে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক( ডিসি) মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন বিলকুমারী বিলের মৎস্যজীবীরা।