বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রকে মাদক সেবন করানোর অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাঘা প্রেস ক্লাবে শিশুর অভিভাবকরা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
জানা যায়, রাজশাহীর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আলী ও তার সহযোগি নান্টু মরকুটি কিশোরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র আজমল হোসেনকে প্রলোভন দেখিয়ে দেড় বছর যাবত মাসে দুই থেকে তিন বার বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মাদকসেবন করায়। ওই ছাত্র বিষয়টি প্রথমে তার পরিবারকে পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকাবাসীকে অবহিত করে। তার পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা শিশুদের মাদক সেবনে আগ্রহী না করানোর জন্য নিষেধ করেন। এতে ছাত্রলীগ নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিশুকে আরো মাদক সেবন করাতে উৎসাহ করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
ফলে এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিশোরপুর গ্রামের ছাত্রের বাবা, চাচা, প্রতিবেশিরা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আলী ও তার সহযোগি নান্টু বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। ছাত্রলীগ নেতা সুজন আলীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ও এলাকায় মানববন্ধন করার পর বিভিন্নভাবে বাদিকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রের বাবা তাজমুল হোসেন, দাদা আবুল কালাম, চাচা আবদুর রশিদ, চাচাত ভাই তন্ময় হোসেন, মামাত ভাই জাহিদ হোসেন, মামা শামিম হোসেন, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা শফিউর রহমান শিমুল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে ছাত্রের বাবা বাদি হয়ে ১৫ এপ্রিল বাঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া ছাত্রের স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবকরা ১৭ এপ্রিল কিশোরপুর বাজারে একটি মানববন্ধন করেন।
এ বিষয়ে রাজশাহীর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আলী বলেন, আজমল হোসেন একজন উম্মাদ ছেলে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় চুরির বিষয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাকে ভালো করার জন্য মাঝে মধ্যে আমার মোটরসাইকেলে পেছনে করে ঘুরিয়েছিলাম। তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করছে শুনেছি। এছাড়া ওই ছেলেকে তার বাবা প্রতিদিন বিড়ি কিনে দেয়। এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায়।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী বলেন, সুজন আলীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।