বাঘা প্রতিনিধি:
পাহারাদারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাঘা সাদিয়া এগ্রো লিঃ এর পুকুরের মাছ ধরে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা সাব্বির হোসেন বাদি হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার (২৬-৪-১৯) থানায় এ অভিযোগ করেন সাব্বির হোসেন।
সাব্বির হোসেন অভিযোগ করেন, তার চাচা নওশাদ আলী বাঘার পাশর্^বর্তী লালপুর এলাকার বসন্তপুর গ্রামে নিজ সম্পত্তির পুকুরে মাছ চাষ করেন। সাব্বির হোসেন ওই পুকুর দেখাশুনা করেন। বেরিলাবাড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন, মান্টু ও কিশোরপুর গ্রামের রুস্তম আলী পুকুর পাহারাদারের কাজ করেন। ঘটনার দিন শুক্রবার ভোর আনুমানিক ৫টার সময়,লালপুরের বেরিলাবাড়ির এলাকার আব্দুল লতিফ,ওমর ফারুক,আজবার,ফজল,আব্দুর রাজ্জাক,শাহাজান,হায়দার আলী,বশির উদ্দীন,সাগর ও একই উপজেলার মনিহারপুর গ্রামের লিটনসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন লাঠি ও হাসুয়া সহ মাছ ধরার সরঞ্জামাদি নিয়ে তার চাচার পুকুরে মাছ ধরা শুরু করে। পাহারাদাররা বাঁধা নিষেধ দিলে তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
এ সময় পাহারাদারের মুঠোফোনে সংবাদ পেয়ে সেখানে যান নওশাদ আলীসহ স্থানীয় কযেকজন। বাদিও চাচা বিবাদীদে বাঁধা দিলে বিবাদি আব্দুল লতিফ অন্যান্য বিবাদিদেও প্রাণে মেরে ফেলার হুকুম দেয়। হুকুম পেয়ে বিবাদিরা চাচা নওশাদ আলীকে এলোপাথারি মারধর শুরু কওে ২লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা মুল্যের প্রায় ২৫ মণ মাছ থওে নিয়ে যায়। পরে বিবাদিদের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় অভিযোগ করেন সাব্বির হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে আব্দুল লতিফের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান,এ বিষয়ে দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান ওসি।