স্বদেশবাণী ডেস্ক: রাজশাহীর তাপমাত্রা আরও কমেছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি থাকা এই তাপমাত্রায় দুর্ভোগে রয়েছেন মানুষ। বিশেষ করে যেসব শ্রমজীবী মানুষ খুব ভোরে কাজের সন্ধানে বের হন, তারা পড়েছেন বেকায়দায়।
আগের দিন বৃহস্পতিবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে গত কয়েকদিন ধরে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না ঠিকমত। প্রতিদিনই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী ঢাকা থাকছে কুয়াশার চাদরে। ভোরে বইছে হিমেল হাওয়া। এ কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে আরও বেশি।
শুক্রবার সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাদিপুর মোড়ে আজমল হক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাইকেলে চড়ে মোড়ে এলাম। এত ঘন কুয়াশা যে মনে হচ্ছে বৃষ্টির ফোটা গায়ে এসে পড়ছে। খুব শীত লাগছে। কাজকাম করে শান্তি পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, শহরে তাদের অফিসে তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মাত্র শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি ওপরে রেকর্ড করা হলেও গ্রামে তাপমাত্রা এর চেয়েও কম হবে। সাধারণত এ রকমই হয়। তবে গ্রামাঞ্চলে তাদের তাপমাত্রা রেকর্ড করার কোনো ব্যবস্থা নেই।
লতিফা হেলেন জানান, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। রাজশাহীতে এবার সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল গত ২৯ ডিসেম্বর।