তানোরে অনৈক্যর মঞ্চে ঐক্যর ডাক 

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনা সভার মঞ্চে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী সাংসদ ফারুক চৌধুরীর তীব্র সমালোচনা করে নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে ঐক্যর আহবান জানিয়ে ফের আলোচনায় উঠে এসেছে। তবে স্থানীয়রা এটাকে অনৈক্যর মঞ্চ বলে অভিহিত করে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
জানা গেছে, ৭ মার্চ রোববার তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে, সভাপতি গোলাম রাব্বানীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল সরকার পাপুলের সঞ্চালনায় গোল্লাপাড়া ফুটবল মাঠে ৭ই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার সাবেক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুস সালাম, তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র ইমরুল হক ও  মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান প্রমুখ। অন্যদিকে আলোচনা সভা নিয়ে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের কাছে থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য উঠে এসেছে মুলধারার নেতাকর্মীদের ভাষ্য, এমপি, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান এবং দলের দায়িত্বশীলরা তাদের সঙ্গে নাই, গত প্রায় ৫ বছর ধরে তারা ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট, ১৬ ডিসেম্বর, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, ২১ ফেব্রুয়ারী, ৭ই মার্চ, ২৬ মার্চ, দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এমনকি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী
মুজিববর্ষসহ কোনো কর্মসুচীতে তাদের দেখা মেলেনি।
অথচ ইউপি নির্বাচনের আগে হঠাৎ করেই কেনো তাদের এসব তৎপরতা-?  আবার কেউ কেউ বলছে, যারা নিজেদের খেয়াল খুশিমত এসব করছে, তারা দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলে কোন্দল সৃস্টি ও বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে জামায়াত-বিএনপিকে সুবিধা করে দিতে কাজ করছে এরা বেঈমান, এরা বিভিন্ন সময়ে এলাকার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত পল্লীতে কথিত কর্মসুচি দিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করছে, তাদের যদি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এতোই মায়া, এতোই আনুগত্যশীল ও কৃতজ্ঞ তাহলে তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য, আদর্শ ও নীতিনৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেন কি ভাবে।
আবার অনেকে বলছে, চিরচেনা, তারা একই মুখের হাতেগোনা  নেতাকর্মী এরা  কাঁমারগা, বিল্লী, মুন্ডুমালা, দুবইল, উৎকুড়াহরিশপুর,মালশিরা, কচুয়া ইত্যাদি সবখানে তাদের বিচরণ, নৌকার জয়-পরাজয় নিয়েও তাদের সমান আনন্দ-উৎসব-! তায় সাধারণ মানুষ বিচার করুক কারা আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্খী ও আদর্শিক নেতাকর্মী।
অন্যদিকে আয়োজকদের দাবি তারাই মুলধারার নেতাকর্মী তাদের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার করছে তারা হাইব্রিড, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এসব করছে, আগামিতে তারা মাঠেই থাকতে পারবে না জনগণ তাদের প্রত্যক্ষান করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপজেলা,পৌরসভা ও ইউপি আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনের  মুলধারার দায়িত্বশীল সিংহভাগ  নেতাকর্মীর উপস্থিতি না থাকায় আলোচনা সভা নিয়ে জনমনে এসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সুত্রপাত।এছাড়াও  সভায় এদের মায়াকান্না দেখে মনে হয় তারাই আদর্শিক আওয়ামী লীগ এরা ছাড়া বুঝি আওয়ামী লীগ টিকবে না।
অথচ তাদের আদর্শহীন কর্মকান্ডের কারণে তাদের সঙে নাই এমপি, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান, নাই দলের দায়িত্বশীল কোনো নেতাকর্মী। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি খাদেমুননবী বাবু চৌধুরী বলেন, যারা এসব করছে তারা আওয়ামী লীগের শক্র, এরা দায়িত্বশীল পদে থেকেও নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে, এরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, তারা কত বড় আওয়ামী লীগ তা তারা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *