বাঘা প্রতিনিধি:
ফেসবুকে পরিচয়ের পর এক ছেলের প্রেমে পড়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়েছে এক গৃহবধু। অল্প বয়সেই তার জীবনে এমন গল্প তৈরি হয়েছে, যা নাটকীয়তায় ভরা কোনো সিনেমার কাহিনিকেও হার মানায়।
জানা যায়,ফেসবুকে এক ছেলের সঙ্গে প্রেম হয় গৃহবধুর। একটানা বছর খানেক কথা হয় ফেসবুকে। একদিন ছেলেটা জানায়, সে খুব অসুস্থ। প্রেমের টানে গৃহবধু তার ২ বছরের পুত্র সন্তান রুহানকে নিয়ে একা চর এলাকার পলাশিফতেপুর গ্রাম থেকে ঢাকার নবীনগর ছুটে যায়। সেখানে গিয়েই তার সঙ্গে বিয়ে করেছে বলে জানা যায়। নবীনগরের রাউল গ্রামের বাসিন্দা সুমন নামের ছেলেটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। এরপর থেকেই গৃহবধু আর ফিরে আসেনি। সংসার জীবনের গল্প কাহিনী নিয়ে ঘুরপাক খেতে থাকে স্বামী মজিবর মন্ডল। গৃহবধু রিমার স্বামীর বাড়ি বাঘা উপজেলার পলাশিফতেপুর গ্রামে। আর তার বাবা আকালির বাড়ি একই উপজেরার নওটিকা গ্রামে।
এ নিয়ে স্বামী মজিবর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,গত ২১ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাবার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে ছেলে রুহানকে ও প্রয়োজনীয় কাপড় চোপড়সহ স্বর্ণ অলংকার এবং বিশ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। পরনে ছিল ঈদ উপলক্ষে নিয়ে দেওয়া লাল টুকটুকে শাড়ি। গলায় ও কানে সিটি গোল্ডের বড় বড় গয়না। গৃহবধুর বাবার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানেন সেখানে নাই। পরে জানতে ফেসবুকে পরিচয়ের সেই ছেলেটির কাছে চলে গিয়ে বিয়ে করেছেন। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ এমন অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।