মোহনপুরে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্ঠা

রাজশাহী

মোহনপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জাহানাবাদ ইউনিয়নের তশোপাড়া গ্রামে আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তির পৈত্তিক ও ক্রয় সূত্রে প্রাপ্ত জমি দখলের চেষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে। তশোপাড়া গ্রামের মৃত এছার আলীর ছেলে রস্তুম আলী তার ছেলে রুবেল হোসেন এর সহযোগিতায় ভূমিদস্যু চক্রের যোগসাজসে হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, শাবল, হাতুড়ী, দা, কুড়াল নিয়ে তান্ডব চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর ও গাছপালা কর্তন করে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের ওই জমি দখলের চেষ্ঠা করে। জমির বর্তমান মালিক আঃ রশিদরে ছেলে আঃ মজিদ, বিরোধপূর্ণ জমির পরিচয় : রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার তশোপাড়া গ্রা, মৌজার- তশোপাড়া, জেএল নং-১৪০, খতিয়ান নং-৩৭ ভুক্ত ১২৩, ২০২, ২০৩, ২৪০, ২১৬, ২২৭, ২২৮, ২১০, ১৩৬,২৪১,২৩৯ নং দাগের ১০৪ শতাংশের সাড়ে ৪৩ শতাংশ জমি আঃ মজিদ দিং পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত এবং ক্রয় সূত্রে তারা ১৫ শতকের মালিক ও অদ্যাবধি যাবৎ ভোগ দখল করে আসছে। এই জমি নিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফৌঃ রিভিশন৬৯/২০২১ মামলা চলমান বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তশোপাড়া গ্রামে আঃ মজিদের জমি কতিপয় ভূমিদস্যু কর্তৃক দখলের চেষ্টা করেন। বাদী ও বিবাদী রস্তম আলী ও মজিদের লোকজন যাতে এই বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে না পারেন সেজন্য রস্তুম আলী নিজেই বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। এরপর আদালত বিরোধপূর্ণ জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি এবং দখল বিষয়ে মোহনপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) দখল বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখর জন্য থানার অফিসার ইনচার্জকে নিদের্শ দেন।

আদালতের নিদের্শের পরও রস্তম আলীর নেতৃত্বে কতিপয় ভূমিদস্যু নিয়ে ১৫ মার্চ জমি দখলের চেষ্টা করেন । এই ঘটনার পর ২১ মার্চ আঃ মজিদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ আমলী-২ আদালতে রস্তুম আলীসহ ৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন যার নং-৭৬সি/২১(মোহনপুর)। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নির্দেশ দেন। তিনি অভিযোগ করেন, মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় রস্তুম আলী দিং স্থানীয় প্রভাবশালী একটি ভূমিদস্যু চক্রের সহায়তায় তাদের জমি দখলের পাঁয়তারা করছে। তিনি উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

স্ব:বা/না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *