বাঘা প্রতিনিধি: বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ক্রয় সুত্রে মালিক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তবে ৭৪ সালের রেকর্ড মোতাবেক আব্বাসের ছেলে আক্কাছ ঘর তুলে দখলে নিয়েছে। এ ঘটনায় সম্পত্তির দখল নিয়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের মৃত আব্বাছ আলীর ছেলে আক্কাছ জানান, ৪০/৪৫ বছর আগে তার বাবা আব্বাছ আলী মারা যান। মৃত্যুকালে বেশ কিছু সম্পত্তি রেখে যান। সেই থেকে মা ও ভাইবোন মিলে তারা সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছিলেন। নাবালক অবস্থায় তাদের অংশের কিছু সম্পত্তি তার মা অভিাবক হয়ে বিক্রি করে দেন। কিন্তু .৪০ শতাংশ জমির .২০ শতাংশ জমি তার নামে রেকর্ডে আছে।
বাউসা গ্রামের রয়েজের ছেলে সিরাজুল ইসলাম দলিল বের করে দাবি করেন, তার বাবা রয়েজ ও চাচা আয়েজ উদ্দীন ্ক্রয় সুত্রে সেই সম্পত্তির মালিক। মালিকানা নিয়ে সিরাজুলের পিতা রয়েজ উদ্দীন জীবিত থাকাকালিন সময়ে ২০১৩ সালে রাজশাহীর সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আক্কাছ ও চাচাতো ভাই মজিবরসহ ৪জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বাদিপক্ষ হাজির না হওয়ায় মোকাদ্দমাটি বাদিও অনুপস্থিতিতে খারিজ করে দেয় বিজ্ঞ আদালত।
এরপর বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও বৈঠকে হাজির না হয়ে তাদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়েছেন আক্কাছ আলী।
তবে সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আব্বাছ ও আমজাদ দুই ভাই। ১৯৬০ সালে আব্বাছের অংশ মোতাবেক .৪০শতাংশ জমি তার স্ত্রী পাতামন বিক্রি কওে দেয়। যাহা ৭৪ সালে ক্রেতার নামে রেকর্ড হয়। আর ৭৪ সালে আমজাদেও অংশ ক্রয় করেন ‘আমার বাবা রয়েজুদ্দিন ও চাচা আয়েজজুদ্দিন। ওয়ারিশ সুত্রে দাবিকৃত .৪০শতাংশসহ মোট .৯৭ শতাংশ জমি বিক্রি করেন আমজাদের মেয়ে মমতা। ৮৫ সালে যাহা খারিজ করা হয়েছে। তবে ভ’লবশতঃ .৪০শতাংশ জমির অর্ধেক আক্কাছের নামে রেকর্ড হয়েছে। সেই জমি দখল নিতে সম্প্রতি ঘর তুলেছে। বাধ্য হয়ে ১৮ মার্চ আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।
বাউসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন,বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য পাশের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ এলাকার গন্যমান্য লোকজন নিয়ে বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে সেটি হয়নি।
স্ব.বা/বা