আল-আফতাব খান সুইট, নাটোর: এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও অস্ত্র কারবারি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ থাকার পর নাটোরের সিংড়া উপজেলার লক্ষিখোলা গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে গত রবিবার রাতে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গুলিবিদ্ধ আহত ব্যক্তি লক্ষিখোলা উত্তরপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ইসরাফিল (২৮) হোসেন। সে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও অস্ত্র কারবারি লক্ষিখোলা গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ ও উলেন উদ্দিনের ছেলে হাসেমের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার সন্ধ্যায় বিবাদমান দুটি গ্রুপ লক্ষিখোলা গ্রামের উত্তরপাড়ায় হাসেম ও আজিজের বাড়ির মাঝ রাস্তায় সংঘর্ষ বাধে।
এ বিষয়ে আজিজ গ্রুপের প্রধান আজিজ মুঠোফোনে জানান, হাসেম এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত, আমাকে হত্যা করার জন্য সেই রাতে তার দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায় আমাকে না পেয়ে আমার ছোট ভাইকে বেদম মারপিট করে এবং আমার ভাইয়ের চিৎকারে প্রতিবেশি ইসরাফিল হোসেন বাধা দিতে আসলে তাকে হাসেমের নিকট থাকা শর্টগান দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।
এদিকে হাসেম গ্রুপের প্রধান হাসেম জানান, তিনি বা তার লোকজন এ ঘটনায় জড়িত নন, আজিজ নিজেই একজন সন্ত্রাসী, আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে এবং সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল, দূর্গাপুর, জয়কুড়ি, বাইগুনি ও বোয়ালিয়া এলাকায় অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনীর দ্বারা দেশি-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র কেনা বেচা করে এবং সে নিজেও অস্ত্র ব্যবহার করে।
ঘটনার দিন বর্তমানে সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রত্যাশী এক আ’লীগ নেতার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আমার নিজ বাড়ীর সীমানায় এসে দুই থেকে তিন রাউন্ড গুলি করে ঘটনার স্থান ত্যাগ করে। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছি।
এ ব্যাপারে সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। তবে বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
স্ব.বা/বা