২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাসিক মেয়রের বাণী

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

বাণীতে মেয়র বলেন, ‘২৫ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে ভয়াবহ দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু বাংলাদেশেরই নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসেও একটি কালো অধ্যায়, ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল কালরাত। আওয়ামী লীগ সরকার ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের ১১ মার্চ মহান জাতীয় সংসদে এ দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় এবং ২০ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি জাতীয় চার নেতাকে, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং নির্যাতিত মা-বোনকে যাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মহান স্বাধীনতা।

মেয়র আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানি শাসকদের নিপীড়ন এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করে। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচনে জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পূর্ব বাংলার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাঙালির মুক্তি আন্দোলন স্তব্ধ করতে নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান, যার পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা।

তিনি আরো বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ শুরু করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান এবং ৩রা নভেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। তবে এখন আনন্দের বিষয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও নিরলস পরিশ্রমের কারণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করে প্রধানমন্ত্রী যে গতিতে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন, তাতে আগামী ২০৪১ সাল নয়, তার আগেই উন্নত দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই বছরে আমি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানাই।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *