বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করতে না দেওয়া সেই অধ্যক্ষ সভাপতি, তোলপাড় তানোর

রাজশাহী লীড
সারোয়ার হোসেন, তানোর : জাতির পিতা হাজার বছরের বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ নেতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ২৬ শে মার্চের ভাষণ বাজাতে না দেওয়া রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার ঐতিহ্যবাহী তালন্দ ললিত মোহন ডিগ্রি কলেজের অবশরপ্রাপ্ত সেই অধ্যক্ষ সেলিম উদ্দিন কবিরাজকে চাপড়া মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি করার জন্য আদেশ দিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষমতাসীন আ”লীগ সহ সহযোগী সংগঠন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং আ”লীগের ভ্যানগার্ড ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা ক্ষোভ ফেটে পড়ছেন। এমনকি আদেশ প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনেও হুমকি দিয়েছেন অনেকেই। ফলে ভিসির খাম খেয়ালী পোনা আদেশের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন ছাত্রলীগের অভিভাবক শেখ হাসিনার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনাসহ যারা সুপারিশ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জারালো দাবি তুলেছেন। ঘটনাটি বর্তমানে টক অব দ্যা তানোর পরিণত হয়ে পড়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত ১৯৯৫ সালের দিকে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে তালন্দ কলেজের ছাত্রলীগের নেতারা  ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বাধিকার আন্দোলনের মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত গরম করা এক ভাষণেই লাল সবুজের পতাকা এবং পাক হানাদারদের চরম লজ্জাজনক পরাজয়ের ভাষণ বাজাতে বাঁধা দেন ওই সময়ের কলেজের অধ্যক্ষ বর্তমান অবশরপ্রাপ্ত সেলিম উদ্দিন কবিরাজ।
শুধু ভাষণই বাঁধা না কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকসহ নেতাকর্মীদের অধ্যক্ষের নির্দেশে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বেধড়ক পিটিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে দেন। আর সেই অধ্যক্ষকে মহিলা কলেজের সভাপতি করার জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বিরোধিতা মানে স্বাধীনতার বিরোধিতা কারীকে প্রজাতন্ত্রে এত বড় দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং মন্ত্রী এমপিরা কিভাবে সুপারিশ করলেন তা তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচারের দাবি তুলেছেন পরিক্ষিত সাবেক ছাত্রলীগের নেতারা।
তৎকালীন তালন্দ ললিত মোহন কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক কলমা ইউপির বাসিন্দা আব্দুল বারি জানান বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চের ভাষণ অধ্যক্ষরে নির্দেশে বাজাতে দেয়নি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারপরেও আমরা ভাষণ বাজিয়ে ছিলাম এই অপরাধে আমাকে এবং কলেজ সভাপতি রানাকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়, সেই ক্ষত এখনো রয়ে গেছে। ওই সময়ের পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি বর্তমান আ”লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাপুল সরকার জানান এঘটনা জানার পর আমরা তানোরে বেশ কিছু নেতাকর্মীদের নিয়ে কলেজে উপস্থিত হয়ে মারপিট থামিয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে ভাষণের বিষয়ে
 প্রশ্ন করলে নানান তালবাহানাসহ উল্টো আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে প্রয়াত নেতা শাফিউল ইসলাম এসে সবাইকে থামিয়ে পরিবেশ শান্ত করা হয়। সেই অধ্যক্ষ কি ভাবে সভাপতি হয় তাহলে দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারক লিপিসহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এনিয়ে অবশরপ্রাপ্ত তালন্দ ললিত মোহন কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম উদ্দিন কবিরাজ অভিযাগ অস্বীকার করে জানান এটা সঠিক না। ওই সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাথা পর্যন্ত ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল তারপরেও আপনার ভুমিকা ছিল নিরব এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি অনেকক্ষন দুম ধরে থেকে সঠিক না বলেনএড়িয়ে যান।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *