বাঘায় মোবাইল চুরির সন্দেহে বাগান পাহারাদারকে পেটালো বিজিবি,আহতকে হাসপাতালে ভর্তি

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় মোবাইল চুরির সন্দেহে বাগানের এক পাহারাদারকে পিটিয়েছে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) মীরগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। শনিবার (১-৬-১৯) সকালে মীরগঞ্জ ক্যাম্পের বাইরে তাকে মারধর করে ক্যাম্পের ভেতরে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ক্যাম্পের পাশে অবস্থান নেয়। পরে বিজিবির রাজশাহীর সদর দপ্তরের সিও (পরিচালক) লেঃ কর্ণেল তাজুল ইসলাম তাজ,এএসপি (বাঘা-চারঘাট) সার্কেল নুরে আলম,বাঘা উপজেলা নির্বাহি অর্ফিসার শাহিন রেজা,বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ মহসীন আলী ঘটনাস্থরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।

আহত হাফিজুল ইসলামকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি উপজেলার ভানুকর গ্রামে।
এদিকে ঘটনায় জড়িত বিজিবির দুই সদস্য হাবিলদার আব্দুর রহিম এবং ওবিএম (স্প্রীড বোর্ড চালক) জাকির হোসেনকে বিজিবি রাজশাহী সদর দপ্তরে ক্লোজ করা হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাৎক্ষনিক আহত হাফিজুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার দায়ভার নিয়েছে বিজিবি।

প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রহমান ও নাজমুল হক জানান, মীরগঞ্জ ক্যাম্পের বাইরে স্প্রীডবোর্ড রক্ষনাবেক্ষনের জন্য পৃথক একটি ঘরে ছিলেন ওবিএম জাকির হোসেন। শুক্রবার (৩১-৫-১৯)রাতে তার ব্যবহৃত মোবইল ফোন চুরি হয়ে যায়। এ সন্দেহে ক্যাম্প থেকে কোয়ার্টার কিলোমিটার দুরে আম বাগান পাহারাদার হাফিজুলকে সন্দেহ করে ওইখানে ডেকে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে মোবাইল চুরির কথা অস্বিকার করলে ক্যাম্পের ইনচার্জ সুবেদার মেজর শফিকুল ইসলাম ও হাবিলদার আব্দুর রহিমসহ ওবিএম জাকির হোসেন বাঁশের লাঠি দিয়ে পাহারাদার হাফিজুলকে বেধড়ক মারধর করে। জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ক্যাম্পের ভেতরে নিয়ে নিয়ে গিয়ে ফেলে রাখা হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ক্যাম্পের পাশে জমায়েত হন। পরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিজিবির রাজশাহীর সদর দপ্তরের সিও (পরিচালক) লেঃ কর্ণেল তাজুল ইসলাম তাজ,এএসপি (বাঘা-চারঘাট) সার্কেল নুরে আলম,বাঘা উপজেলা নির্বাহি অর্ফিসার শাহিন রেজা,বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ মহসীন আলী।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী। উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজা বলেন বিষয়টি স্থানীয়ভাবেই সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিবির সিও লেঃ কর্নেল তাজুল ইসলাম তাজ বলেন, আইনের আওতায় না গিয়ে পাহারাদার হাফিজুলকে মারধর করা হয়েছে। সেই অপরাধে তাদের বিচারের জন্য ক্লোজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ আহতের পরিবারের সাথে কথা বলেছেন। তবে ভূল বুঝাবুঝির কারণে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *