বাঘা প্রতিনিধি: ছেলের মৃত্যুর তিন মাস আগে টাক্টর চাপায় মারা গেছে বাবাও। সেই ট্রাক্টরের র্দুঘটনায় এবার মারা গেল ছেলে শাকিল আহম্মেদ (১৬)। তার বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার কলিগ্রামে। বৃহষ্পতিবার (১৫-৪-২০২১) ভোর চারটার দিকে চারঘাট উপজেলার ভায়া লক্ষিপুর এলাকায় কাসেম মেম্বারের বাড়ির সামনে ট্রাক্টর চাপায় মারা যায় শাকিল। সে ওই ট্রাক্টরে হেলপারের কাজ করতো। বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রায়পুর গ্রামের রশিদের পুকুর খননের মাটি নিয়ে ভায়া লক্ষিপুর একটি ইট ভাটায় সরবরাহ করতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ট্রাক্টরটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে কাসেম মেম্বারের বাড়ির সামনের একটি পুকুরে পড়ে উল্টে যায়। একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে ট্রাক্টর চালক রানা (৩২) বেঁচে গেলেও ট্রাক্টরের ইঞ্জিনের নীচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যবরন করে হেলপার শাকিল। তার মৃত্যুর ৩মাস আগে এই গাড়ির র্দুঘটনায় মারা গেছে শাকিলের বাবা সুজন আলী ও ।
নিহত শাকিলের চাচা সুমন জানান, তার ভাই সুজন আলী (শাকিলের আব্বা ) প্রতিবেশী মাজদার রহমানের ছেলে মিটুল হোসেনের ট্রাক্টরে চালক হিসেবে কাজ করতো। তিন মাস আগে ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় মারা যায়। বাবার মৃত্যুও পর লেখা পড়ার পাশাপশি ওই গাড়িতে হেলপার হিসেবে কাজ করতো শাকিল। এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল শাকিলের।
তিনি বলেন, দৃঘটনায় মৃত্যুর পর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকায় সমঝোতা করা হয়েছে। নিহত শাকিলের মাকে এই টাকা প্রদান করা হবে। বাদ যোহর পারিবারিক গোরস্থানে লাশ দাফনের আগে স্থানীয় কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম টগর ( ৩ নং ওয়ার্ড), সাবেক কাউন্সিলর জুবান মালিথা ও সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সমাঝোতা করা হয়। দাফনের পর সেই টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
শালিসে উপস্থিত সাবেক কাউন্সিলর জুবান মালিথা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,ঘটনাস্থল এলাকায় বসে উভয়ের সমন্মতিতক্রমে সমাঝোতা করা হয়েছে। সেই টাকা চেকের মাধ্যমে দেওয়ার কথা রয়েছে।
চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, কারও কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি (তদন্ত) আব্দুল বারি জানান, মৃত ব্যক্তি আমার থানাধীন হলেও দুর্ঘটনাটি চারঘাট থানার মধ্যে। তাই বিষয়টি তারাই ব্যবস্থা নিবেন।
স্ব.বা/বা