বাঘায় ওজনে তরমুজ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, বিক্রি করতে হবে পিচ হিসেবে

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি: বাঘায় কেজি দরে তরমুজ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। খুচরা কিংবা পাইকারি বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বৃহসপতিবার (২৯-৪-২০২১) সকালে উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাঠ থেকে শতকরা হিসেবে (পিচে) কিনে বাজারে ওজনে বিক্রি করছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকা সত্বেও ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করেই নিয়ন্ত্রণ করেননি বা করছেননা। যার কারণে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্বদেশ বানী অনলাইন পোর্টাল নিউজে,‘সড়কের ধারে ধারে তরমুজের বাজার’শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত খবরের ভেতওে, ফসলের মাঠে শতকরা হিসেবে, পিচে (শতকরা) কিনে ওজনে বেশি দামে তরমুজ বিক্রি করে মুনাফা লুফে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বাজারে এবার তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় তা সাধারণ অনেক মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে । ইচ্ছা থাকলেও মৌসুমি ফল না কিনেই হতাশ মনে ফিরছেন তারা। ক্রেতাদের অনেকের দাবি ছিল, ওজনে নয়, পিচে তরমুজ বিক্রির।
বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে এলে, বাজার নিয়ন্ত্রনে উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভায় কেজি দরে তরমুজ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার পাপিয়া সুলতানা। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু,সহকারি কমিশনার(ভ’মি) কামাল হোসেন,কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান,প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও আবাসিক মেডিকেল অফিসার হুমাইরা জেরিন, অধ্যক্ষ নছিম উদ্দীন, সাব ইন্সপক্টের মামুন হোসেনসহ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক প্রমুখ।

সভায় আলোচনা হয়েছে,কোনো বিক্রেতা তরমুজ কেনার চালান দেখাতে পারলে বোঝা যাবে, তারা কত টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনেছেন। তাহলে তার সঙ্গে একটা যুক্তসংগত মুনাফা যোগ করে দর বেঁধে দেওয়া যেত। তাদের জানামতে, এই ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে এনে কেজি দরে বিক্রি করছেন। এ জন্য তাদের প্রকার ভেদে পিস হিসেবে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ‘পিস’ হিসেবে বিক্রি করতে হবে। তাহলে ক্রেতারা দাম করার সুযোগ পাবেন। দামও তাহলে কমে আসবে। এজন্য বাজারে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হবে। যদি কেউ আদেশ না মানেন,তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাঘায় এসব তরমুজ আসে নাটোর,বনপাড়া,লালপুরসহ বরগুনা, খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা থেকেও। সেখান থেকে কিনে এনে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি দরে বিক্রি করছেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা সেই তরমুজ কিনে বাজারে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

সভায় রমজান মাসে বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে আলোচনা করা হয়। তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নেই বলে বিশেষভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই বৃহসপতিবার থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না।

অন্যদিকে বাজারে মূল্যে তালিকা টানিয়ে দেওয়ার ব্যপারেও বাজার কমিটির দৃষ্টি আকর্ষন করে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য বলা হয়েছে। তারা ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে মাঠে নামবে প্রশাসন।

স্ব.বা/বা

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *