তানোরে মায়ের উপর অভিমান করে বিষপানে ছেলের আত্মহত্যা

রাজশাহী

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে কাওসার হোসেন (১৮)নামের এক যুবকের বিষপানে যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, ৯মে রবিবার সকালে তানোর পৌর এলাকার ধানতৈড় গ্রামে। নিহত যুবক ধানতৈড় গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের সন্তান। সে তানোর একে সরকার কলেজের ইন্টারমেডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পারিবারিক কলহের জের ধরে মায়ের উপর অভিমান করে মায়ের সামনে নানির বাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন কাওসার হোসেন।

ঘটনা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার ধানতৈড় গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও তার স্ত্রীর মধ্যে কিছু দিন ধরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব বিভেদ হয়ে আসছিলো। সম্প্রতি,চলতি বছরের ২১ফেব্রুয়ারী সকালে সাজু ও তার স্ত্রীর মধ্যে আবারও মৌখিক দ্বন্দ্ব বিভেদ সৃষ্টি হয়। এসময় সাজু বাড়িতে স্ত্রী সন্তান রেখে তার থানার মোড়ে আটো গ্যারেজে চলে আসেন। অন্যদিকে সাজুর স্ত্রী বাড়িতে ছেলে কাওসার কে রেখে বাড়ি থেকে চলে যায়। এসময় ছেলে কাওসার তার মায়ের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার বিষয়টি বাবা সাজুকে ফোনে জানালে সাজু তার শশুর বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রীকে না পেয়ে বিভিন্ন আত্নীয় সজনের কাছে খোঁজ খবর করে না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন সাজু।

এভাবে তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর তার স্ত্রীকে শশুর বাড়িতে ফিরে এসেছে বলে জানতে পেয়ে শশুর বাড়ি স্ত্রীকে আনতে চলে যান সাজু। কিন্তু সাজুর স্ত্রী স্বামীর সাথে বাড়িতে যেতে অপারগতা জানিয়ে চলে যেতে বলেন। এসময় সাজু তার শশুর বাড়ি থেকে চলে যায়। কিন্তু ছেলে কাওসার নানির বাড়িতে মায়ের আশার কথা শুনে মাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে ছুটে যান নানির বাসায়। তার পরেও ছেলের সাথে বাড়িতে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এতে মা ছেলের অনেক কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছেলে কাওসার মাকে বলেন বাড়িতে না গেলে আমি নানির বাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবো বলে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। তাতেও মা বাড়িতে যেতে রাজি না হওয়ায় একপর্যায় সত্যি সত্যি বিষের বোতল হাতে নিয়ে শেষ বারের মত মাকে অনুরোধ করেন ছেলে কাওসার হোসেন। তবুও মা বাড়িতে যেতে রাজি না হওয়ায় ছেলে মায়ের সামনে নানির বাড়িতে বিষ পান করেন। এসময় পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে এসে কাওসার কে তানোর মেডিকেলে ভর্তি করে বিষ উত্তলন করেন। কিন্তু বিষ উত্তলনের তিন দিন পরে রোগীর অবস্থা বেগতিক হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।

 

স্ব:বা/না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *