স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেরাজ উদ্দিন মোল্লার জানাযার নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার বাদ জোহর নওহাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযার নামাজ শেষে নওহাটার কাজিপাড়াস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এরআগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেরাজ উদ্দিন মোল্লাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়াও এমপি ফজলে হোসেন বাদশার পক্ষ থেকেও তাঁকে ফুলের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানাযার নামাজে অংশ নেন রাসিক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সাবেক এমপি জিয়াউদ্দিন জিয়া, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আমিনুল হক, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম আশরাফুল হক তোতা, নওহাটা পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান, কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহীদ।
আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি এ্যাড. জাকিরুল ইসলাম সান্টু, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল, পবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল আকতার, ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী খান, পবা থানা ওসি শেখ মো. গোলাম মোস্তাফা, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবু সালেহ, সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, পবা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম, নওহাটা পৌর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মাননান প্রমুখ।
রাসিক মেয়র বলেন, মরহুম মেরাজ উদ্দিন মোল্লা সদালাপী ও মিষ্টি হাসি মানুষ ছিলেন। তাকে কখনো রাগতে দেখিনি। কারো সঙ্গে কখনো মনোমালিন্য হলে হেসে সেটি সহজেই ঠিক করে নিতেন। তাঁর এই অদ্ভুত একটা গুণ ছিল। তিনি তৃণমূল মানুষদের সাথে অত্যন্ত সহজেই মিশতে পারতেন। তাঁর চলে যাওয়ার শূণ্যতা আমাদের কষ্ট দিচ্ছে, আরো কষ্ট দেবে। তাঁর মৃত্যুতে অপূণীয় ক্ষতি হলো।
গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তীকালে রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার নওহাটা ইউনিয়ন পরিষদ একাধিকবার চেয়ারম্যান, দুইবার পবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ২০০৮ সালে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি।
স্ব .বা/বা