এক সপ্তাহে রামেকের করোনা ইউনিটে মৃত্যু ৭১

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টারঃ  রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা সংক্রমণে গত ২৪ ঘন্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন শনাক্ত হওয়ার পর মারা যান। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এ নিয়ে রামেকে গত এক সপ্তাহে করোনায় মারা গেল ৭১ জন।

মঙ্গলবার (৮ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় তারা মারা যান। এর মধ্যে আইসিইউতে দুইজন, ৩নং ওয়ার্ডে দুইজন এবং ১৬, ২২, ২৫ ও ২৯নং ওয়ার্ডে একজন করে মারা যান বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।

তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ৮ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৭১ জন। এর মধ্যে ৪৩ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এর মধ্যে ১ জুন, সাতজন, ২ জুন সাতজন, ৩ জুন নয়জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন ৮ জন, ৬ জুন ছয়জন, ৭ জুন ১১ জন ও সর্বশেষ ৮ জুন আটজন মারা যান।

ডা. সাইফুল জানান, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। এদের মধ্যে রাজশাহীর ১৬, চাঁপাইয়ের ১৪, নওগাঁর ১ ও নাটোরের ২ জন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৫৭ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১২৭, চাঁপাইয়ের ১০২, নওগাঁর ৯, নাটোরের ১১, পাবনার ৪, কুষ্টিয়ার ৩ ও জয়পুরহাটের ১ জন। আইসিইউতে রয়েছেন ১৭ জন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৫৭ জনের মধ্যে ১২৫ জনের করোনা পজেটিভ। বাকিদের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডা. সাইফুল।

এদিকে, রাজশাহীতে আবারও বেড়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার। সোমবার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে ৩৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রাতে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় ১৭৪ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।

ফলে, আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ০৭ শতাংশে। যা এর আগের দিন রোববার ছিল ৪১ দশমিক ২৯ শতাংশ। তারও আগের দিন শনিবার ছিল ৫০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া গত শুক্রবার এ জেলায় শনাক্তের হার ছিল ৪৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ রোধে অব্যাহত রয়েছে অনির্দিষ্টকালের বিধিনিষেধ। সোমবার থেকে দুই ঘন্টা বাড়িয়ে বিকেল ৫টার পর দোকান-পাটসহ সব বন্ধ রাখা হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসনের ছয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের পাশাপাশি মাঠে কাজ করছে রাজনৈতিক দলের নেতারাও।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *