প্রেমের বিয়ে মেনে নেওয়ার পর জামাইয়ের হাতে শ্বশুর খুন

রাজশাহী

স্বদেশবাণী ডেস্ক: বগুড়ার শেরপুরে জামাতার ছুরিকাঘাতে শ্বশুর নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের পারভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত জামাতা সাব্বির হোসেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার পারভবানীপুর গ্রামের শাহীন আকন্দের ছেলে। আর নিহত শশ্বর আসাদুল ইসলাম (৪৬) একই গ্রামের বাসিন্দা।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় শ্বশুরকে হত্যা করেছেন জামাতা সাব্বির। তবে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, যৌতুক নয়, প্রেমের বিয়ে মেনে না নেওয়া নিয়ে এ হত্যাকালণ্ড ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সাব্বিরের সঙ্গে প্রতিবেশী আসাদুল ইসলামের মেয়ে শিমু আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ১০ মাস আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। প্রথমে মেয়ের বাবা আসাদুল এ বিয়ে মেনে নেননি। পরে গ্রামে কয়েক দফা বৈঠকের পর মেয়ে-জামাইকে মেনে নেন তিনি। এ ঘটনার কয়েক মাস পর সাব্বির শ্বশুরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ নিয়ে জামাই-শ্বশুরের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

স্থানীয়রা আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসাদুল স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছে তিনমাথা এলাকায় পৌঁছালে জামাই সাব্বির তার পথরোধ করে ফের টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। ঘটনার একপর্যায়ে সাব্বির সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে শ্বশুরের বুকে আঘাত করে পালিয়ে যান।

স্থানীয়রা রক্তাক্ত আসাদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ রাতে লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, আসাদুল ইসলামের মেয়ে প্রেম করে সাব্বিরকে বিয়ে করে। প্রথমে বিরোধ থাকলেও পরবর্তীতে তাদের মধ্যে মীমাংসা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে জামাই-শ্বশুর তিনমাথা এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। একপর্যায়ে সাব্বির ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ধারণা থেকে ওসি বলেন, যৌতুক নয়, প্রেমের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। সাব্বিরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *