অনলাইনে বিক্রি কম, শেষ মুর্হুতে পশু নিয়ে ছুটছেন কোরবানীর হাটে

রাজশাহী
আল-আফতাব খান সুইট, নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটেরে শেষ মুর্হুতে কোরবানীর পশুর হাটেই ভিড় করছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। অনলাইনে বিক্রি কম হওয়ায় তারা ছুটছেন পশুর হাটে।
সোমবার (১৯ জুলাই) জেলায় সিংড়া উপজেলা সদরে ছিল পশুর শেষ হাট। তাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খামরি সহ গরু পালনকারী কৃষকরা তাদের গরু নিয়ে হাটে ভির করেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, গত রোববার নাটোর সদরের তেবাড়িয়া ও সিংড়া উপজেলার কালিগঞ্জ হাট ছিল। সোমবার সিংড়া পৌর এলাকায় ছিল কোরবানীর শেস হাট। প্রশাসনের তত্বাধায়নে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব হাট  বসে। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই  গত ১৪ জুলাই বুধবার ও ১৮ জুলাই রোববার সিংড়া উপজেলার বিয়াশ হাটে কোরবানীর পশুর হাট বসে। ১৫ জুলাই বৃহষ্পতিবার ও ১৮ জুলাই রোববার বসে বিলদহরের হাটে কোরবানীর ছাগল হাট। ১৬ জুলাই শুক্রবার জামতলীর হাটেও কোরবানীর পশুর হাট বসানোর জন্য মাইকিং করা হয়।  পরে বৃষ্টির কারনে হাট ভেঙ্গে যায়। ১৯ জুলাই সোমবার সিংড়া পৌরসভার পশুর হাটই ছিল এই উপজেলার শেষ হাট। শেষ মুর্হুতের এই হাটে ছিল উপচে পরা ভিড়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাট কমিটির পক্ষ থেকে মাইকিং করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে প্রবেশ করার কথা বলা হচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই ছিলনা হাটে। ক্রেতা বিক্রেতাদের ঠাসা ঠাসির ভিড়ে শুরু হয় কেনা বেচা। অনেকের মুখেই মাস্ক ছিলনা। আবার যাদের মাস্ক ছিল তাদের বেশির ভাগই ছিল মুখের থুতনির নীচে ঝুলানো। দুপুর ১২টায় হাটে প্রবেশ করেন পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস। এসময় তিনি সবাইকে মাস্ক পরার আহবান জানান। যাদের মুখে মাস্ক ছিলনা তাদের মাস্ক পরিয়ে দেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা বেচা করার জন্য সাইকে অনুরোধ করেন। হাটে প্রচুর গরু ও ছাগলের আমদানী হলেও ক্রেতা কম থাকায় হাটে  বিক্রিও ছিল কম। উপজেলার চৌগ্রাম থেকে হাটে আসা মুকবেল নামের এক ক্ষুদে খামারী বলেন, আমার খামারে ৬টি দেশী জাতের গরু মোটা তাজা করেছি।
অনলাইনে গরুর ছবি ও সম্ভাব্য দাম,ঠিকানা পাঠিয়ে ছিলাম। ১৫ দিন পর মাত্র ১টি গরু বিক্রয় করতে পেরেছি। তাই বাকি গরু নিয়ে এই হাটে এসেছি। কলম পুন্ডরী গ্রামের আলহাজ আকন্দ বলেন, আমার ৭টি গরু অনলাইনের কোরবানীর পশুর হাটে দিয়েছিলাম। বিক্রি হয়নি। হাটে এনেছি ৪টি গরু। দুটো বিক্রয় করেছি। ঈদের সময় কম। আমাদের এলাকায় এটাই ঈদের শেষ হাট। বাকি গরু বিক্রি নিয়ে চিন্তায় আছি।
সিংড়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার মোঃ খুরসিদ আলম বলেন, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা সহ এবছর ক্ষুদে খামার ও পারিবারিক খামারে ৪১ হাজার গরু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। গত  ২৫ দিন আগে সিংড়া কোরবানীর পশুর হাট নামে ফেসবুক পেইজ খোলা হয়েছে। সেখানে খামারীদের গরু ও ছাগলের ছবি, নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর আপলোড করা হয়েছে। অনলাইনে কেনা বেচা থাকলেও অনেকেই হাটে গিয়ে দেখে শুনে কেনা বেচায় আগ্রহী। তাই ভির বেড়েছে হাটে।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *