বাঘা উপজেলা প্রবেশ গেটে তালা কার স্বার্থে

রাজশাহী

বাঘা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলা চত্বরের প্রবেশ গেটে তালা লাগানোর কারনে উপজেলা মসজিদে যেতে পারেননি মুসল্লিরা। যার ফলে উপজেলা মসজিদের নিয়মিত অনেক মুসল্লিই সড়কে নামাজ আদায় করেন। মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) এশার নামাজের সময় এই ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরুজ্জামান খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত মুসল্লিদের শান্ত করেন।

উপজেলা মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম বলেন,আমরা প্রতিনিয়ত উপজেলা চত্বরের মসজিদে নামাজ আদায় করি। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই এশার নামাজের সময় দেখি মুল গেটে তালা লাগানো। এশার নামাজের সময় পার হয়ে গেলেও তালা খুলে দেয়া হচ্ছিলনা। বাধ্য হয়ে তালা লাগানো গেটের সামনের সড়কেই এশার নামাজ আদায় করেছি।

 

তিনি বলেন. এসি চালানো নিয়ে মসজিদের খাদেম আশরাফুল ইসলামের সাথে মুসল্লিদের দ্বিমত সৃষ্টি হওয়ার কারনে গেটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে বলে ধারনা করছি। তবে তার অভিযোগ অস্বিকার করে মসজিদেও খাদেম আশরাফুল বলেন,আমি খাদেম মাত্র। গেটে তালা লাগানোর ধৃষ্টতা আমার নেই। মূল বিষয় না জেনেই হয়তো আমার ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, মসজিদের গেট বন্ধ রাখার কোন নির্দেশনা নেই। তবে নিরাপত্তার কারনে বন্ধ রাখা হয়। গেটের চাবির দায়িত্বে থাকেন নৈশ প্রহরী। তার দেরি হওয়ার কারনে কিছু ব্যক্তি মসল্লিদের উস্কানি দিয়ে এমন কাজ করিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)মনিরুজ্জামান বলেন, জৈনক এক ব্যক্তি নিয়মিত উপজেলা চত্বরে ব্যক্তিগত গাড়ি রাখেন। নিরাপত্তার জন্য উপজেলা চত্বরের মুল গেটে তালা লাগানো থাকার কারনে সেই গাড়ি বের করতে পারছিলেন না। কারন বশতঃ নৈশ প্রহরীর তালা খুলে দিতে দেরি হওয়ায় মুসল্লিদের উস্কে দিয়ে এমন কাজ করিয়েছেন তিনি। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের নিরাপত্তার জন্য গেটে তালা লাগিয়ে রাখাটা স্বাভাবিক। এ নিয়ে মুসল্লিদের উস্কে দিয়ে বিস্খলা করতে হবে এমনটি নয়।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি তার ফেসবুকে একটি কমান্ড দিয়েছেন।, তা তুলে ধরাহলো-এটা নিয়ে পানি ঘোলা করার কোন সুযোগ নেই। রাতের বেলা মসজিদের এসি নষ্ট হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে এতো গুলো এসি দ্রুত সারানো যায়নি। সেটা নিয়ে কেউ কেউ উত্তেজনা সৃস্টি করেছে। ধৈর্য্য ধারণ আমাদের ধর্মের একটা বড় দিক, এটা ভুলে গেলে চলবেনা। আর কারা এই রকম পরিস্থিতিতে উস্কানি দেয়া আমরা তা জানি। একটা রাজনৈতিক দলের স্থানীয় প্রধান হিসেবে তোমার দায়িত্ব হলো পরিস্থিতি বুঝে সেটা সামাল দেয়া এবং সময় মতো যারা দায়ী তাদেও চিনহিত করা। যাই হোক এরকম পরিস্থিতির যেন সৃষ্টি না হয় সেটা দেখবে আশা করি।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *