সারোয়ার হোসেন,তানোর: চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বিয়ে করার নাম করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রেমিকাকে গায়েব করেছেন প্রেমিক দলিল লেখক তানোর পৌর সদর হিন্দুপাড়াগ্রামের উত্তম কর্মকার আ”লীগ নেতা সুনিলসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে রামেক হাসপাতালে ঘটে ঘটনাটি। গায়েব হওয়ার পর থেকে স্বামী পরিত্যাক্তা হিন্দুপাড়াগ্রামের ওই মহিলার কোন সন্ধান বা যোগাযোগ করতে পারছেনা তাঁর মা ভাই ও এক মাত্র শিশু সন্তান। এতে করে পরিবারের লোকজন চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, পৌর সদর হিন্দুপাড়াগ্রামের দলিল লেখক উত্তম কর্মকার একই গ্রামের স্বামীহারা মহিলাকে বিয়ে করার নাম করে ভাড়া বাড়ী থেকে মাকে বলে রাজশাহী শহরে নিয়ে যান গত শনিবারে। কিন্তু বিয়ের পরিবর্তে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে বিয়ে করতে না চাইলে ওই মহিলা আত্মহত্যা করার জন্য হাত কাটেন এবং বিষ পান করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে উত্তম কর্মকার বাধ্য হয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করান।মহিলার সাথে রফাদফা করার জন্য গত মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উত্তম কর্মকার তানোর পৌর মেয়র পৌর আ”লীগ সভাপতি ইমরুল হক, আ”লীগ নেতা হিন্দুপাড়াগ্রামের প্রভাবশালী সুনিলসহ বেশ কয়েক জনকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। নানা প্রলোভন দেখানো হলেও ওই মহিলা বিয়ের দাবিতে অনড় থাকে। এঅবস্থায় উত্তমসহ তাঁরা জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে গায়েব করে দেন।মহিলার ভাই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান আমার বোন কোথায় আছে কেমন আছে কোনভাবেই যোগাযোগ করতে দেয়নি উত্তম কর্মকার।
যারা রফাদফা করার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিল তারাও কিছু বলছেনা। তিনি আরো জানান পৌর মেয়র ও সুনীলকে বলছি আমার বোন কোথায় আছে মেয়র বলছে আমি কিছু কথা বলেই হাসপাতাল থেকে চলে আসছি। আর সুনিল কোন কিছুই বলতে চাচ্ছেনা। থানার ওসিকে বলছি তিনিও একই ধরণের কথা বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমরা গরিব অসহায় বলে কোন বিচার পাবনা, নাকি টাকার কাছে সবাই জিম্মি হয়ে গেছে।
প্রেমিক দলিল লেখক উত্তম কর্মকারের ০১৭১৮৯৩৯২০৭ মোবাইলে ফোন দিয়ে ঘটনা জানতে চাইলে সাক্ষাতে কথা হবে বলে এড়িয়ে যান।
আ”লীগ নেতা সুনিলের ০১৭২১৪৬২৫২৮ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি কিছুই বলতে পারব না, মহিলা তাঁর ভায়ের সাথে কথা বলেছে। মেয়র ইমরুল হক জানান মহিলার সাথে কিছু কথা বলে উত্তম থাকা অবস্থায় হাসপাতাল থেকে চলে এসেছি। থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান এঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত চলতি মাসের ১লা আগস্ট রাতে স্বামী হারা ওই মহিলার হিন্দুপাড়াগ্রামের নিজের ঘরে ঢুকেন নারী লোভী উত্তম কর্মকার। এঘটনা দেখতে পেয়ে তাদেরকে বন্দি করেন মহিলার দেবর। পরদিন পুলিশ এসে মহিলার ঘরে প্রবেশ করলে উত্তমকে কোনভাবেই পাওয়া যায়না। ঘর তল্লাশি করে খাটের নিচে বস্তার ভিতর থেকে উত্তমকে আটক করে উভয়কে থানায় নেওয়া হয়। পরদিন ১৫১ ধারায় উত্তমকে আদালতে প্রেরন করে। আর ওই মহিলাকে মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়। জামিনে এসে প্রমিক উত্তম কর্মকার গত শনিবার হিন্দুপাড়া ভাড়া বাড়ি থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাজশাহী শহরে নিয়ে যান।