বাঘা প্রতিনিধি:
বাঘা উপজেলায় বছরে মাছের উৎপাদন হয় ৩ হাজার ৩১৭ মেট্টিকটন। চাহিদা রয়েছে ৩ হাজার ৯৭০ মেট্টিকটন। উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও দুটিটি পৌরসভায় প্রায় ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ১৮৩ জনগোষ্ঠির চাহিদার তুলনায় মাছের ঘাটতি রয়েছে ৬৫৭ মেট্টিকটন। তবে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৫ হাজার ৫শ’ মেট্টিকটন উৎপাদন হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (১৭ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। “মৎস্য সেক্টরের সমৃদ্ধি, সুনীল অর্থনীতির অগ্রগতি” এই প্রতিবাদ্য সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে রাজশাহীর বাঘায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অফিসার আমিরুল ইসলাম, বাঘা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল লতিফ মিঞা, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উপজেলা শাখার সভাপতি শিক্ষক আমানুল হক আমান, সাধারণ সম্পাদক লালন উদ্দীন, গোলাম তোফাজ্জল কবীর মিলন, আকতার রহমান, আব্দুল হামিদ(নাহিদ).জহুরুল ইসলাম মিলন হোসেনসহ জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক, মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারিগণ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সপ্তাহ ব্যাপি কর্মসূচির মধ্যে ১৮ জুলাই বর্ণাঢ্য র্যালি, পোণা অবমুক্তকরন, আলোচনা সভা। ১৯ জুলাই মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি বিষয়ে প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন। ২০ জুলাই মৎস্য বিষয়ক আইন বাস্তবায়নে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা। ২১ জুলাই মৎস্যজাত দ্রব্য প্রদর্শন ও কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ২২ জুলাই হাট-বাজার/জনবহুল স্থানে মৎস্য চাষ বিষয়ক উদ্বুদ্ধকরণ সভা ও ভিডিও প্রদর্শন। ২৩ জুলাই মৎস্য চাষীদের মূল্যায়ন পুরুস্কার বিতরণ এবং সমাপনি অনুষ্ঠান।
মৎস্য অফিসার আমিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় মৎস্যজীবির সংখ্যা ১ হাজার ৩০৭ জন, মৎস্য চাষির সংখ্যা ৭২০ জন। মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি রয়েছে ৬টি। উপজেলায় মোট পুকুরের সংখ্যা ৩ হাজার ৪০টি। এরমধ্যে সরকারি খাস পুকুর রয়েছে ৪৮টি ও ব্যাক্তিমালিকাধীন পুকুর রয়েছে ২ হাজার ৯৯২টি। গত বছরের তুলনায় এ বছর পুকুরের সংখ্যা বেড়েছে ৭৪৪টি। মাছ উৎপাদনে রাজশাহী জেলা রোল মডেল ভূমিকা পালন করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান মৎস্য কর্মকর্তা।
