তানোরের কলমা ইউপি’র উপনির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরদ্ধে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহীর তানোরে কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ জুলাই। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তানোর উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হুমকি, মামলায় জড়ানো ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল ইসলাম বুধবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাইনুল ইসলাম স্বপন ও তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়নার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলেন।

লিখিত বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আজীবন আওয়ামী লীগ করলেও এবং এ ইউপিতে আমার সমর্থন থাকার পরও আমাকে দলীয় নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়নি। কিন্তু ইউনিয়ন সাধারণ ভোটারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হব। কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী নৌকা প্রতীককে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। দলীয় প্রার্থী মাইনুল ইসলাম স্বপন, তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার আমাকে ও আমার কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। ভোটারদের ভোটারদের ভোট দিতে আসতে নিষেধ করছেন। তারা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসলে হাত-পা ভেঙ্গে ফেলা হবে। এমনকি মামলায় জড়ানোর ভয় দেখাচ্ছেন। পরাজিত হওয়ার ভয়ে তারা এসব সন্ত্রাসী কর্মকা- ও মিথ্যা প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছেন।’

তিনি বলেন, প্রতিদিনই ৪০/৫০ টি মটরসাইকেল বহর নিয়ে ভোট না চেয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য বলছেন। ২৫ জুলাইয়ের বাঁচতে চাইলে এবং বৌ-বাচ্চা নিয়ে শান্তিতে থাকতে চাইলে ভোট কেন্দ্রে না যেয়ে ঘরে বসে থাকুন। ভোট কেন্দ্রে গেলে পা কেটে হাতে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা আমার মটরসাইকেল প্রতিকের পোষ্টারো টাঙ্গাতে দিচ্ছে না।

স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল ইসলাম বলেন, কলমা ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে অরাজগতা না করতে পারে ভোটাররা যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশাসনে আবেদন করেছেন। তিনি আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না আচরনবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের যেন বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রদানে বিরত থাকেন এর নিশ্চয়তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা কামনা করেন। বিশেষ করে ভোটের দিনে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা প্রদান করতে না পারে এবং সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় এমন পরিবেশ পরিস্থিতি কামনা করেন।

তিনি এই ইউনিয়নের ২, ৩, ৪, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর প্রতিটি ওয়ার্ডে ম্যাজিষ্ট্রেটের দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি ভোটারদের ভোট দিতে আসার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করার আবেদন করেন।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে এই ইউনিয়নে আমাকে এক ভোটে হারাইয়া দেয়। আদালতে মামলা করলে আমার পক্ষে রায় হলেও আমাকে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ বসতে দেয়নি। আর সেদিন বিএনপি’র এই সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে আমাকে পরিষদে বসতে দেয়নি। আজকে তারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকা প্রতিক পাই। আমরা আজীবন আওয়ামী লীগ করে প্রতিক পাই না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কলমা ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম ও তানোর উপজেলা সাবেক প্রতিষ্ঠাতা যুবলীগ ও কৃষকলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *