সিটি সেন্টার ও সোনাদিঘি উন্নয়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্মাণাধীন সিটি সেন্টার ও সোনাদিঘির উন্নয়নের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে মেয়র দপ্তরকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের উপস্থিতিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব মোঃ মশিউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং এডভাইজার আশরাফুল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ সাইদ, এনা গ্রুপের আঞ্চলিক পরিচালক সারোয়ার জাহান, প্রধান প্রকৌশলী সুলতানুল ইমাম, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার জালাদ উদ্দিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সোনাদীঘির হারানোর ঐতিহ্য ফিরে আনতে ২০০৯ সালে প্রথম মেয়াদে উদ্যোগ নেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) এর আওতায় ‘এনা প্রপার্টিজ’ নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে ১৬ তলাবিশিষ্ট ‘সিটি সেন্টার’ নির্মাণ ও সোনাদীঘিকে সাজানোর চুক্তি করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রথম মেয়াদের সময়কালে (২০০৮-১৩) এর নির্মাণকাজ এগোলেও পরবর্তী ৫ বছর কাজ বন্ধ হয়ে থাকে। ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর সিটি সেন্টার ও সোনাদীঘিকে সাজানোর কাজে গতি ফেরান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। নির্মাণ কাজ ও সাজানো শেষে সিটি সেন্টার হবে অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র আর সোনাদীঘি হবে দৃষ্টিনন্দন বিনোদনকেন্দ্র। সোনাদীঘিকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার পুরো চিত্রই পাল্টে যাবে। দর্শনার্থীদের পাশাপাশি পুরো বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরাও এর সুফল ভোগ করবেন। এই দীঘির চারপার্শে পর্যাপ্ত বসার জায়গা রাখা হবে। পরিবার নিয়ে মানুষ সেখানে বসবে। উপভোগ করবে স্বচ্ছ পানির জলাধার। রাতে আলোকায়ন থাকবে। থাকবে ফোয়ারা। সংস্কার শেষ হলে তিন দিক থেকে সোনাদিঘিকে দেখা যাবে। তখন এটি আগের মতোই নগরের একটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *