সাংবাদিক জুলুর বিরুদ্ধে দৈনিক উপচার (অইলাইনে) প্রকাশিত মিথ্যা খবরের প্রতিবাদ

রাজশাহী

স্টাফ রিপোর্টার: গত ২৭শে জুন, ২০২১ ইং তারিখে নগরীর দাশপুকুর এলাকার সেলিমের নাটকীয় অস্ত্র উদ্ধার, ও ৩০শে জুন দাশপুকুরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে জোড়া খুন মামলায় উপচারের সাংবাদিক নূরে আলম মিলন এর সম্পৃক্ততার অভিযোগের অনুসন্ধানমূলক খবর প্রকাশ এবং ৩১শে জুলাই২০২১ সাজাপ্রাপ্ত আসামি কথিত সাংবাদিক নূরে আলম মিলনকে র্যাব কর্তৃক গ্রেফতারের খবর খবর২৪ঘন্টা সহ অন্যান্য পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া এবং খবর২৪ঘন্টা’র কাছে ‘উক্ত ঘটনার সাথে মিলন এর সংশ্লিষ্টতার স্বীকারোক্তিমূলক অডিওক্লিপ থাকায়ব বিতর্কিত সাংবাদিক মিলন ও ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট পুলিশের ২জন কর্মকর্তার নানান অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাকে। তাদের এই মিথ্যাচারের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করা ও উক্ত ঘটনা গুলোর খবর প্রকাশে বিরত রাখা।

নূরে আলম মিলন আমাকে একাধিকবার জুলাই, ২০২১ এ ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ করে নগরীর এক গুরুত্বপূর্ণ থানার ওসির বিরুদ্ধে খবর না করার জন্য বারবার অনুরোধ করে। যার প্রমাণাদি খবর২৪ঘন্টার কাছে রয়েছে। এই বিষয়টি আমি অনেক সিনিয়র সাংবাদিকদেরও অবগত করেছি। মিলন এর অনুরোধ আমি আমলে না নিয়ে খবর প্রকাশ অব্যাহত রাখি। যার জের ধরেই আমার বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। একান্তই প্রতিহিংসার বসেই মিলন ও তার সহযোগীরা আমার বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। নোংরা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নূরে আলম মিলন একটি পত্রিকা দৈনিক উপচার কে ব্যবহার করছে। ইতোমধ্যে মিলন আমার বিরুদ্ধে নানান সাজানো মিথ্যা খবর প্রকাশ করে। যার প্রতিবাদ স্বরূপ অনেক পত্র-পত্রিকা আমার পক্ষে প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে। মিলন আর তার সহযোগী আবার এক নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। মিলন হাতিয়ার হিসেবে আমার বড় ছেলের প্রাক্তন স্ত্রী কে ব্যবহার করছে। আমার ছেলের সাথে শেখ হাসিবা তুল ইলমা’র বিবাহ বিচ্ছেদের ১বছর পর তাকে ব্যবহার করে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।

২৭ আগষ্ট ২০১২১ দৈনিক উপচার অইলাইন ভার্সনে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে আমি আমার ছেলের বউ ‘ইলমাকে সেক্সুয়ালি হ্যারাসমেন্ট করেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার পরিবারে আছে ২ছেলে, স্ত্রী, মা, বোন। বাড়িতে আরো থাকে ৩টি ভাড়াটিয়া পরিবার । অথচ ইলমা কে সেক্সুয়ালি হ্যারাসমেন্ট এর বিষয়টি বাড়ি ভর্তি মানুষ জানতে পারলো না, আকস্মিকভাবে ১বছর পর ঘটনার বিবরণ জানানো হলো ‘ নূরে আলম মিলন’-কে যার সাথে বর্তমানে আমার পেশাগত কারনে ঝামেলা চলছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে ইলমা’র চিতকার শুনে নাকি পাড়া প্রতিবেশিরা ছুটে আসে যা ডাহামিথ্যে। এমন কোন ঘটনা কোনদিনই ঘটেনি। এমন কোন ঘটনা ঘটলে আমার বাড়ির সাথে লাগোয়া ৩/৪ বাড়ির মানুষ এবং আমার ভাড়াটিয়ারা জানতে পারতো। সরেজমিনে এসে তদন্ত করলে এমন ঘটনা যে ঘটেনি তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।

খবরে প্রকাশিত ঘটনাটি একান্তই মিলন-এর কুবুদ্ধিপূর্ণ মস্তিষ্কের তৈরি করা ফসল। সেক্সুয়ালি হ্যারাসমেন্ট এর মতো সেনসিটিভ ইস্যু নিয়ে নোংরামি করে মিলন আবারও প্রমাণ করলো সে কিছুতেই সাংবাদিক হতে পারে না। সে একজন কলুষিত মানসিকতার ধারক। যে কি না প্রতিহিংসার জেরে আষাঢ়ে গল্প তৈরি করে মিথ্যাচার করে থাকে। আর তাকে এই সব কাজে সহযোগিতা করছে ‘দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

আমার স্ত্রী, ছেলে, পরিবারের সদস্যরা ১.৫বছরেও আমার ছেলের প্রাক্তন স্ত্রী ইলমা’র কাছ থেকে এহেন কোন অভিযোগের বিষয়ে শোনেনি। ইলমা-কে কেন্দ্র করে এতদিন পর এসে এমন মিথ্যাচার যারা করছে তাদের এমন কাজের পিছনের কারণ নিশ্চয়ই সবাই বুঝতে পারছে।

উল্লেখ্য যে আমার বড় ছেলের প্রাক্তন স্ত্রী শেখ হাসিবা তুল ইলমা’র বিভিন্নধরনের অসদাচরণ, উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে আমি বিগত ২১/০৩/২০২০ ইং তারিখে বোয়ালিয়া মডেল থানায় প্রথম জিডি করি; যাহার জিডি নম্বর ১১১১। পরবর্তীতে উক্ত থানাতেই ইলমা’র অসংলগ্ন কথাবার্তা ও আচার-আচরণ এর জন্য পুনরায় জিডি দায়ের করি যাহার নম্বর ১২২০। উল্লেখ্য যে তার এমন অসদাচরণ এর বিষয়ে ইলমা’র পরিবারকেও জানানো হয়। তারা আমাদের কে আস্বস্ত করে এই বলে যে, তারা তাদের মেয়েকে বোঝাবেন। পরবর্তীতে তাদের পরামর্শে নগরীর একজন বিশিষ্ট মানসিক ডাক্তার এর সাথেও কাউন্সিলের ব্যবস্থা করি। আমার দায়েরকৃত জিডি গুলো তদন্ত করে বোয়ালিয়া মডেল থানার প্রাক্তন এস.আই আব্দুল মতিন। আব্দুল মতিন তার তদন্ত প্রতিবেদনে ইলমার অসদাচরণের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বয়ং ইলমা’র কাছ থেকে জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তিনি ইলমা-কে পারাবারিক শান্তি বজায় রাখারও পরামর্শ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে তখন ‘ইলমা’ শ্বশুর কর্তৃক কোনধরনের সেক্সুয়ালি হ্যারাসমেন্টের কথা উল্লেখ করেনি।

অথচ, আজকে এতদিন পর এসে অভিযোগ করছে তাও আবার উপচারের সাংবাদিক নূরে আলম মিলন এর কাছে। পরবর্তীতে এস.আই মতিনের উপস্থিতিতে ২৮/০৪/২০২০ইং তারিখে রাত্রি আনুমানিক ৮:৪৫মিনিটে ইলমা বাড়ি ছেড়ে স্বেচ্ছায় চলে যায়। বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজে বাদী হয়ে জিডি ভূক্ত করেন যাহার জিডি নং ১০২ তাং ০৩/০৫/২০২০ইং। আরো উল্লেখিত যে, আমি যদি আমার বড় ছেলের প্রাক্তন স্ত্রী অর্থাৎ শেখ হাসিবা তুল ইলমা’কে সেক্সুয়ালি হ্যারাসমেন্ট করতাম বা তার সাথে অসদাচরণ করতাম তাহলে ইলমা নিজে আমার বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পরেও আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে নক করে বারংবার ক্ষমা চাইতো না। হোয়াটসঅ্যাপে ইলমার বারবার ক্ষমা চাওয়ার স্ক্রীনশটস আমার কাছে প্রমান স্বরুপ আছে। সে যদি ভিক্টিম হতো আর আমি যদি তার অপরাধী হতাম তবে সে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতো না। এই নোংরা অভিযোগের সত্যতা থাকলে আমার বড় ছেলে বা আমার পরিবার আমার সাথে একই বাড়িতে থাকতো না।

এই সব থেকে এইটায় প্রতীয়মান হয় যে, শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারণে কথিত সাংবাদিক নূরে আলম মিলন দৈনিক উপচার কে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এই অপপ্রচার তথা মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আর, এমন ন্যাক্কারজনক মিথ্যা খবর প্রকাশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে দৈনিক উপচার এর সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, সাংবাদিক ও অডিও এবং ভিডিও ক্লিপে মিথ্যা অভিযোগকারী শেখ হাসিবা তুল ইলমা’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।
প্রতিবাদকারী,নজরুল ইসলাম জুলু
সাংবাদিক,রাজশাহী।

 

স্ব:বা/না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *