বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগী পরিবহনের এসি এ্যামবুলেন্স গাড়িটির বয়স প্রায় দুই বছর ৬মাস। ইএসডি অপারেশন প্ল্যানের আওতায় জাপানি মডেলের এ্যামবুলেন্সটি ২০১৬ সালের আগষ্ট মাসে সিএমএসডি ঢাকা থেকে সরবরাহ করা হয়। কিন্ত রেজিষ্ট্রেশন ও ইনস্যুরেন্স ছাড়াই আড়াই বছর চলছে সরকারি এ্যামবুলেন্সটি। ইতিমধ্যেই বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এসি এ্যামবুলেন্স গাড়িটি। সার্ভিসিং জরুরি হয়ে পড়লেও বিআরটি এর অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু রেজিষ্ট্রেশন ও ইনস্যুরেন্স না থাকার কারণে এ্যামবুলেন্সটির সার্ভিসিং ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ। এদিকে সার্ভিসিং এর অভাবে অচল হয়ে পড়ে আছে আগের এ্যামবুলেন্সটিও। তাই সচল এ্যামবুলেন্সটিও যদি সার্ভিসিং এর অভাবে বিকল হয়ে যায়,তাহলে সুলভ অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত হবে রোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দেয় এ সরকারি হাসপাতাল। ইনডোর ও আউটডোরে প্রতি সপ্তাহে প্রায় তিন হাজার মানুষ সেবা নিয়ে থাকে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগী নিয়ে প্রতিদিনই রাজশাহী শহরের হাসপাতালে রোগী পাঠাতে হয়।
কিন্তু এটির রেজিষ্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডাইরেক্টর(ইএসডি) বরাবর আবেদন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ। কিন্ত কোনো সাড়া মেলেনি।
এই হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক শফিকুল ইসলাম জানান, রোগী পরিবহনের ভাড়ার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। রেজিষ্ট্রেশনের আবেদন করেও কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই রেজিষ্ট্রেশন ছাড়াই চালাই। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স, মানুষের জীবন বাঁচানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। সে কারণে রাস্তায় কেউ বাধা দেয় না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, রেজিষ্ট্রেশনের জন্য একাধিকবার আবেদন করেছেন। সর্বশেষ গত মাসের ১৬ তারিখে রেজিষ্ট্রেশন ও ইনস্যুরেন্স করণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করেছেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সটি সার্ভিসিং করাও সম্ভব হবেনা। সড়কে নামিয়ে কোনো সমস্যা হলে কেউ এর দায় নেবে না। তাই কর্তৃপক্ষের দিকে চেয়ে আছি।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে পরে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।