নাটোর প্রতিনিধিঃ জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘণ করে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক জেলা রেজিষ্ট্রার জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সকল নিয়মকানুন ভেঙ্গে রঞ্জনা খাতুন নামে এক নকলনবিশকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বঞ্চিতদের।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে স্টেট অ্যাকুইজিশন এন্ড টিন্যান্সি অ্যাক্ট (এস.এ.টি.অ্যাক্ট) মোহরার পদে নিয়োগ পেতে হলে তালিকাভুক্ত নকলনবিশদের কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫বছর অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করতে হয়। এরপর ক্রমনুসারে অস্থায়ী নকলনবিশদের ভিতর থেকে নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম। এছাড়া নিয়োগের আগে সাব রেজিষ্টার তার কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ নকলনবশিদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ করে যাচাই-বাছাই শেষে নিয়োগের সুপারশি করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু নাটোরের সাবেক জেলা রেজিষ্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম তার সেচ্ছাচারিতায় জ্যেষ্ঠতা বা তালিকাভুক্তির বাহিরে একজন নকলবশিক কে নিয়ম-কানুন ভেঙ্গে নিয়োগ প্রদান করেছেন। এনিয়ে বঞ্চিত নকলনবিশদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বড়াইগ্রাম সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে (এস.এ.টি.অ্যাক্ট) মোহরার পদ শূণ্যে হলে সে পদে নিয়োগের জন্য বড়াইগ্রাম সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের তালিকাভুক্তির বাহিরে নকলনবিশ রঞ্জনা খাতুন আবেদন করেন। তাকে নিয়োগের জন্য গত ২০ সেপ্টেম্বর জেলা রেজিষ্টার বরাবর সুপারিশ করেন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সাব রেজিষ্ট্রার অসীম কুমার বনিক। পরবর্তীতে তার সুপারিশের ভিত্তিতে ওই দিনই রঞ্জনা খাতুনকে নিয়োগ দেন জেলা রেজিষ্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নকলনবিশ জানান, পদটি শূন্য হবার আগেই তড়িঘড়ি করে নিয়মকানুন ভেঙ্গে রঞ্জনা খাতুনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এমনটি হয়েছে বলে দাবী তাদের।
এবিষয়ে জানার জন্য বড়াইগ্রামের সাব রেজিষ্ট্রার অসীম কুমার বনিকের ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এটা কোন সৃষ্টপদ না, স্থানীয় সাব রেজিষ্ট্রার যাকে ইচ্ছা সুপারিশ করেছে, আমি তাকেই কাজ করার অনুমোদন দিয়েছি। এখানে জ্যেষ্ঠতা বা কোন নিয়ম কানুন নেই। তাছাড়া কোন লেনেদেনের বিষয়ও নেই বলে জানান, নাটোরের সাবেক জেলা রেজিষ্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম।