নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর কেশরহাট পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের হলিদাগাছি গ্রামে অবৈধ মুরগির খামারের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে অভিযোগ করেছে কয়েকটি ভুক্তভূগী পরিবার । মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কেশরহাট পৌর মেয়রের কাছে এলাকাবাসির পক্ষে নেহেরজান এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হলিদাগাছীর নামোপাড়ায় মৃত বাহার আলী গাইনের ছেলে মজিবর রহমান এলকাবাসির বাড়ির সাথে
লাগিয়ে জোরপূর্বক অবৈধভাবে মুরগির খামার তৈরী করেছে এবং দীর্ঘদিন থেকে ঐ খামারের মুরগির সকল বিষ্ঠা স্তুপ আকারে রেখে দেয়। যার ফলে সেগুলাে পচে ব্যাপক দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এছাড়া মুরগির বিষ্ঠা নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে উক্ত বিষ্ঠা থেকে বিভিন্ন ধরণের পােকা মাকড়ের জন্ম নেয়। তাতে পাশের বাড়ি গুলোতে থাকা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। যার ফলে মশা মাছির উপদ্রব বেড়ে গেছে। খামারের মৃত মুরগি মাটিতে পুঁতে না রেখে যেখানে-সেখানে ফেলে দেয় যা কুকুর নিয়ে টানাটানি করে ফলে পরিবেশ দূষণ হয় এবং প্রায় সময় পাড়ার অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। গ্রামের গণ্যমান্য মানুষ খামারটি অন্যত্র ফাঁকা জায়গায় সরাতে বললেও তিনি তাদের কথা কর্ণপাত করেন নাই বরং
উল্টো পতিবেশিদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অভিযোগের সম্পূর্ণ সতত্যা রয়েছে। সেখানে মুরগির বিষ্ঠা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। একাদিক পচা ডিম পড়ে আছে, বিভিন্ন ধরনের পোকার অবস্থান বিদ্যমান আছে, পাশের পুকুরের পানি নিষ্কাশনের পথও এ খামারি মজিবর বন্ধ করে দিয়েছে। তার খামারের অসহনিয় দুর্গন্ধৈ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে হয়।
মৃত আঃ রহমানের স্ত্রী নেহেরজান ও ছেলে মাইনুল বলেন, আমাদের বাড়ির সামনে লাগিয়ে এ খামার করায় আমরা চরম বিপাকে পড়েছি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এ বাড়িতে থাকা খুবই কষ্ট হচ্ছে। এখানে যে পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে তাতে করে আমাদের বাড়িতে মেহমান আসা বন্ধ করে দিয়েছে। আর কেউ আসলেও আমার বাড়িতে থাকতে চাইনা, গন্ধের কারণে চলে যায়। আমরা নিজেরাও এ পরিবেশে অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে বসবাস করছি।
মৃত লাহার গাইনের ছেলে শাহিন আলম বলেন, আমার জানালার নিচে খামারের ময়লা ফেলায় বাড়িতে ছোট বাচ্চা নিয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। বাচ্চার কোন বড় রোগ হলে এর দায় কে নিবে। আমি এ খামার দ্রুত উচ্ছেদ চাই।
এলাকাবাসির অনেকে বলেন, আমাদের গ্রামে এ খামার পরিবেশ নষ্ট করছে। এ খামারের কারণে পুকুরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা চাইবো এ বিষয়ের দ্রুত সমাধান করা হোক।
কেশরহাট পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসলাম হোসেন বলেন, পৌরসভায় অভিযোগ হলে তাৎক্ষণিকভাবে মেয়র আমাকে ঘটনাস্থলে যেতে বললে গিয়ে অভিযোগের সতত্যা পাওয়া যায়। বৃষ্টির পানিতে নোংরা পরিবেশে বসবাস অনুপযোগী। মজিবরকে প্রাথমিক ভাবে সর্তকতা করা হয়েছে এবং দ্রুত সমস্যাটির সমাধান করতে বলেছি।
এ ব্যাপারে খামারি মজিবর রহমান বলেন, খামারটি মূলত স্বাভলম্বি হওয়ার লক্ষে ৩ বছর আগে আমার ছেলে মুসতাফিজুর রহমান সোহাগ করে। এখন নতুন করে বসতবাড়ি নির্মাণ করলেও তখন সেখানে একেবারে নিকটে কোন বসতবাড়ি ছিলোনা। এখন খামারটি নিয়ে একটু সমস্যার কথা এলাকায় আলোচিত হচ্ছে। আমি বিষয়টির দ্রুত সমাধান করার চেষ্ঠা করছি।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানওয়ার হোসেন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত করে খামারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্ব:বা/না