স্বদেশবাণী ডেস্ক: বগুড়ার আদমদীঘিতে আবুল কালাম আজাদ (৪২) নামে এক মোটরসাইকেল মেকানিক্সের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সান্তাহার মালশন মোড় এলাকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিন সকালে শ্বশুরের সঙ্গে আজাদের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। এর জেরে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে স্বজনদের ধারণা। ফলে স্বজনরা আজাদের স্ত্রী লিজা, শ্যালিকা রূপা ও শ্বশুর বাচ্চু মিয়ার উপর ক্ষিপ্ত হয়। জনরোষ থেকে বাঁচাতে তাদেরকে থানায় আনা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দিন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে। তারপরও নিশ্চিত হতে লাশ বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আবুল কালাম আজাদ নওগাঁ সদরের খাট্টা সাহাপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি কিছুদিন আগে সান্তাহারের মালশন গ্রামে জায়গা কিনে বাড়ি করেন। পরে বাড়িসহ সম্পত্তি স্ত্রী লিজার নামে দলিল করে দেন। আজাদের স্বজনরা ওই বাড়ি ফেরত দিতে লিজার উপর চাপ সৃষ্টি করে। কিছুদিন ধরে এসব নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আজাদের মতবিরোধ চলছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুরের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিকালে শয়ন ঘরের আড়ার সঙ্গে আজাদের লাশ ঝুলতে দেখা যায়। খবর পেয়ে আদমদীঘি থানা পুলিশ লাশ মর্গে পাঠায়। এদিকে আজাদকে হত্যা করে লাশ ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে এমন খবরে স্বজনরা ছুটে আসে।