নতুন জীবন পেল দুই শতাধিক অতিথি পাখি

রাজশাহী

পাবনা প্রতিনিধি:  পাবনার সুজানগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিল এলাকায় খাবারের খোঁজে আশ্রয় নেয়া ২১০টি দেশি-বিদেশি পাখিকে ফাঁদে আটকিয়েছিল একদল শিকারি। খাঁচায় ভরে পাখিগুলো বিক্রিই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।

এ সময় গাজনার বিলে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করা হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে থানার ওসি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ সোমবার সকালে অভিযান চালিয়ে ৩ শিকারি আটকসহ ২১০টি বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি উদ্ধার করে।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার চরগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বাছেদ শেখের ছেলে আতোয়ার শেখ (৩০), মৃত তফিজ মণ্ডলের ছেলে মোজাহার মণ্ডল (৪৫) ও ঘোড়াদহ গ্রামের জহির হোসেনে ছেলে আলামিন হোসেন (২৩)।তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন আদালতের  বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুল ইসলাম।

পরে থানা চত্বরে উদ্ধারকৃত পাখিগুলো মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেন পাবনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান। এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হলেই রঙ-বেরংয়ের অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে থাকে গাজনার বিল। শীত মওসুমজুড়েই দেখা মেলে সাদা বক, বালিহাঁস, মাছরাঙ্গা, সারস, পানকৌরীসহ দেশি বিদেশি অসংখ্য পাখি। বিলের পানির পুঁটি, খলশে, দারকেসহ মাছ খাওয়ার লোভেই নানা প্রজাতির অতিথি পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে আশ্রয় নেয় এই গাজনার বিলে।

তিনি বলেন, দিগন্তজোড়া উন্মুক্ত হাওয়ায় পাখা মেলে বিলের  একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত উড়াউড়ি করে থাকে। কিন্তু এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল পাখির এমন অবাধ বিচরণে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, পাখি প্রকৃতির বড় সম্পদ যদি কেউ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্টের চেষ্টা করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাখি অবমুক্তকরণের সময় থানার ওসি মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন কৃষিবিদ ডা. মো.আব্দুল লতিফ, পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস ও সুজানগর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমএ আলিম রিপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *