নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করুন, চেয়ারম্যান ময়না 

রাজশাহী লীড
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন আসন্ন ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনিত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করুন এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। আপনার একটি ভোটের অনেক মুল্য সেই মুল্যবান ভোট যেখানে সেখানে দিয়ে অযথা নষ্ট করবেননা। কাজ করলে ভুল ভ্রান্তি  এবং আলোচনা সমালোচনা হবেই। যারা কাজ করে তাদের নিয়েই আলোচনা সমালোচনা হয়। আপনারাই বিচার বিশ্লেষণ করবেন বিগত ২০১৬ সালে উপজেলার সাঁতটি ইউনিয়নে নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান ছিলেন।
তারা কি পরিমাণ উন্নয়ন করেছেন সেটা বিশ্লেষণ করে দেখবেন। যেহেতু এই নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রতীক না নিয়ে স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী হয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে ভোট করছেন। আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে বা নৌকার প্রার্থীদের পরাজিত করতে অনেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তারা কিভাবে বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পারেন। তারা কি আদও আ”লীগ করেন না কি অন্যকিছু। যদি তারা আ”লীগ করতেন তারা কখনই বিদ্রোহী প্রার্থী হতেননা। কার বিরুদ্ধে তারা বিদ্রোহ করেছে সেটা এখন বুঝতে পারছেনা। কারন নৌকা দেওয়ার মালিক এমপি ফারুক চৌধুরী কিংবা আমি না, একমাত্র মালিক দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সুতরাং তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিদ্রোহ ঘোষণা করছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে  আ”লীগের বর্ধিত সভায় উপরোক্ত এসবগুলো বলেন চেয়ারম্যান ময়না।  তিনি  কামারগাঁ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ফরহাদের পক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বর্ধিত সভা করেন। এসব সভায় তিনি নেতাকর্মীদের মনোবল ইস্পাতের মত শক্ত করে নৌকার পক্ষে কাজ করতে আহবান জানান। চেয়ারম্যান নেতাকর্মী ও ভোটারদের বলেন নৌকার মাঝি নতুন মুখ বাবা মা ভাই হারা অসহায় ফজলে রাব্বি ফরহাদের পক্ষে থাকবেন। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করে দেশরত্ন ফরহাদকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। কিন্তু এই ইউপির চেয়ারম্যান মোসলেম নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। আমরা তাকে বিনীত অনুরোধ করে বলতে চাই ২৬ অক্টোবর প্রত্যাহারের শেষ দিন।
এরমধ্যেই আপনি প্রত্যাহার করে নিবেন। আপনার কাছে প্রার্থীসহ অনেকেই গেছে আপনি সম্মান দেখান নি। কিন্তু আপনাকে অনুরোধ করেই বলছি বিদ্রোহ না করে নৌকার পক্ষে আসুন। যারা আপনাকে প্রলোভন দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ভোট করতে বলেছেন তাদের অবস্থান কোথায় তা বোঝা উচিত আপনার। তিনি উপজেলা আ”লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারন সম্পাদক মামুন কে উদ্দেশ্য করে বলেন বিদ্রোহী প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। কিন্তু আপনারা সেটা না করে নৌকাকে পরাজিত করতে বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়েছেন। কেন আপনাদের এই নোংরা রাজনীতি, কাকে খুশি করতে নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে শহরে থেকে লুকোচুরি করছেন। আপনাদের ধাপ্পাবাজির রাজনীতি মানুষ বুঝে গেছে। আপনাদের কথায় মানুষ আর ভুলবেনা। যতই নৌকার বিরোধিতা করবেন একদিন নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ  ফুঁসে উঠলে পালানোর জায়গা পাবেন না। আপনারা উপজেলা আ”লীগের শীর্ষ পদে থেকেও নৌকার পক্ষে কাজ না করে উল্টো বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে নৌকা ডুবাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। দলের পদ থেকে পদত্যাগ করে নৌকার বিরোধিতা করুন। নচেৎ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আপনাদেরকে কোনদিন ক্ষমা করবেনা এবং এলাকাতেও আসতে পারবেন না।
বিগত উপজেলা ভোটে নৌকা ডুবাতে আপন ভাইকে হাতুর প্রতীক দিয়ে ভোট যুদ্ধে নামিয়েছিলেন, সেখানে ব্যর্থ হয়ে এখন পাঁচন্দর ইউনিয়ন ভোটে ভাইকে পুনরায় দাড় করিয়েছেন। আপনাদের নোংরা রাজনীতি মানুষ বুঝে গেছে। যত বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে সব তাদের ইশারায়। সুতরাং এই সব বেঈমানদের উচিৎ শিক্ষা দিতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতেও আহবান জানান এই যুবলীগের সভাপতি।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *