তানোর প্রতিনিধি : আগামী ১১ নভেম্বর আসন্ন রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী মোসলেম আলী প্রামানিকের পক্ষে বহিরাগতদের দেখে স্থানীয় ভোটারেরা আতঙ্কে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্রোহী এই প্রার্থী নৌকা ফুটো করতে তানোর পৌর মেয়রের ভাইয়ের মাধ্যমে সদর থেকে কামারগাতে মোসলেমের পক্ষে ভোট করতে পাঠাচ্ছে টাকার বিনিময়ে বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। যার কারনে স্থানীয় ভোটারেরা ক্ষিপ্ত হয়ে মোসলেম কে ধাওয়া দিয়েছেন। গত শনিবার থেকে বহিরাগতরা মোসলেমের পক্ষে মহড়া দেন। এসব কারনে ওই ইউপির আপামর ভোটারেরা ফুঁসে উঠেছে।
জানা গেছে, বিগত ২০১৬সালে ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মোসলেম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এই নির্বাচনে নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ভোট করছেন। মুলত এই কারনেই ওই ইউপির দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারন জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। ইউপির কোন পর্যায়ের নেতাকর্মী না পেয়ে পৌর সদর থেকে টাকার বিনিময়ে ভাড়া করা লোক নিয়ে যাচ্ছেন মোসলেম। আর এই সব লোকজন টাকা পেয়ে সর্বত্রই আলোচনা করছেন। অপরিচিত ভাড়াটিয়া লোকজন দেখেই ভোটারেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।
অপরদিকে মেয়র ইমরুলের লোকজন এভাবে টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে যাওয়ার কারনে তার প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। কারন নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়ে নৌকাকে ডুবাতে মরিয়া কেন এমন নানা প্রশ্ন বিরাজ করছে দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সর্বত্রই।
কামারগা ইউপির ভোটারেরা জানান, বিগত ২০১৬ সালে মোসলেম নৌকা পেয়ে নানা ঘটনার জন্ম দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি একই ভাবে ২০১১ সালে প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান হন। অতীতের এক বদনাম থেকে রক্ষা পেতে রাজনীতির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল হয়েছে। তারপরও কেন এত চেয়ারের লোভ। তার পরিবার মাদকাশক্ত। তার ছেলে মাদকের কারবার করতে গিয়ে পুলিশে হাতে কয়েকবার ধরা খেয়ে জেল খেটেছেন এবং মোসলেমের শিক্ষাগত কোন যোগ্যতা নাই। যার কারনেই ইউনিয়ন বাসি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু উপজেলা আ”লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের ইন্ধনেই ভোট করছেন তিনি।
এদিকে মোসলেমের সহধর্মিণী সাব জানিয়ে দেন আমার স্বামীকে পরিষ্কার ভাবে বলেছি ভোট করতে। যত প্রকার জুলুম নির্যাতন হোক মাঠেই থাকতে হবে। চেয়ারম্যান মোসলেম বহিরাগত লোকজন আনার কথা স্বীকার করে জানান ইউপির কোন নেতাকর্মী আমার জন্য প্রকাশ্যে ভোট চাইতে পারছেনা। আপনি গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন, এবার নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে ভোট করতে বাধ্য হয়েছি বলে এড়িয়ে যান।