বাঘা প্রতিনিধি : হেমন্তের বাতাসে দুলছে সোনালী ধানের শীষ। আর মাঠে ধানের পাকা শীষ দেখে আশায় বুক বেঁধেছে কৃষকরা। পাকা আমন ধানে ভরা মাঠ বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে কৃষকদের। আর কয়েকদিন পরেই মাঠের রোপা আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হবে। এতে আশ্বিন কার্তিকের মঙ্গা দুর হবে কৃষকসহ শ্রমিকদের।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাঘা উপজেলায় এবার ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রা ছিল ১,৩৬০ হেক্টর । লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ২৮০ হেক্টর জমিতে বেশী চাষাবাদ হয়েছে। ধান প্রতি হেক্টর জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৪.১৪ মেট্রিক টন। এতে করে মোট উৎপাদন হবে ৫ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন। এই ধান ঘরে তুলতে ইঁদুর দমন,উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রোগ পোকার আক্রমন সংক্রান্ত পূর্বাভাস জরিপ করেছেন কৃষি কর্মকর্তা।
বড়ছয়ঘটি গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ শেখ, আব্দুস সামাদ,মকবুল হোসেন জানান, বৃষ্টির হওয়ার কারণে এবার আমাদের সেচ কম লেগেছে। তাতে করে ধানও ভালো হয়েছে। ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি। তবে আবহাওয়া অনুকুলে না
থাকায় আউশের ফলন অপেক্ষাকৃত কম হয়েছে।
কৃষক দুলাল হোসেন ও আফসার আলী বলেন, সেচ খরচ কম লাগলেও অন্যান্য খরচ হয়েছে। তবে তুলনামূলক কম হয়েছে। জমিতে এখনও ধান কাটার সময় হয়নি। তবে কার্তিকের শেষ সপ্তাহে রোপন করা ধান কাটা যেতে পারে। আমনের ফলন দিয়ে
আউসের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানান তারা।
কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার রোপা আমন চাষ বেশি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে রোপা আমন ভাল হয়েছে। পোকার আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য উপসহকারী কৃষি অফিসাররা মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন। যাতে ফলন ভাল হয়।
স্ব:বা/না