অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত)’র বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয় মমের্, নির্বাহি অফিসারের নিকট শিক্ষক-কর্মচারির স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র দাখিল

রাজশাহী লীড

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় শাহদৌলা সরকারি কলেজের বিদায়ী অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) এর বিরুদ্ধে আর্থিক,একাডেমিক,প্রশাসনিক, এবং শিক্ষক-কর্মচারিদের নিকট থেকে কলেজ সরকারি করণে অবৈধভাবে অর্থ আদায়,অনিয়ম, ও দুনীর্তির দাখিলকৃত অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা,বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত উল্লেখ করে ৫৩জন শিক্ষক কর্মচারির স্বাক্ষরিত,লিখিত একটি আবেদনপত্র উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট দাখিল করা হয়েছে।

১১ নভেম্বর কলেজটির জ্যেষ্ঠ সহকারি অধ্যাপক আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় শিক্ষক কর্মচারিদের মতামতের ভিত্তিতে অভিযোগকারিদের অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা,বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে প্রতীয়মান হয়। সভায় ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষক কর্মচারিরা।
নির্বাহি অফিসারের নিকট দাখিলকৃত আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযোগকারি কতিপয় সন্মনিত শিক্ষক স্বেচ্ছায় স্বপ্রনোদিত হয়ে কলেজের অন্য শিক্ষক-কর্মচারিদের অজ্ঞাতসারে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের হীন উদ্দেশ্যে শিক্ষক কর্মচারিদের পক্ষে অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিন্ত যারা অভিযোগ করেছেন,তারা কোনভাবেই শিক্ষক কর্মচারিদের প্রতিনিধিত্ব করেন না।

গত ১০ নভেম্বর শিক্ষক কর্মচারিদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহি অফিসার পাপিয়া সুলতানার নিকট অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি অভিযোগ দাখিল করেন,কলেজটির উৎপাদন ব্যবস্থাপণা ও বিপণন বিভাগের প্রভাষক মোঃ সালাউদ্দীন,প্রাণি বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আহম্মেদ বেলাল,পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মতিউর রহমান ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক শরিফুল ইসলাম। অবসরে যাওয়ার ১দিন আগে অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আর্থিক,একাডেমিক,প্রশাসনিক, এবং শিক্ষক-কর্মচারিদের নিকট থেকে কলেজ সরকারি করণে অবৈধভাবে অর্থ আদায়,অনিয়ম, ও দুনীর্তির অভিযোগ করেন তারা।

কলেজ সুত্রে জানা গেছে,১১ নভেম্বর শিক্ষকতা জীবনের ইতি টেনে অবসরে যান অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অধ্যক্ষ((ভারপ্রাপ্ত) এর দায়িত্ব গ্রহন করেণ কলেজটির জ্যেষ্ঠ সহকারি অধ্যাপক আব্দুল মজিদ। তারই সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় (১১ নভেম্বর) ৫৩জন শিক্ষক কর্মচারির স্বাক্ষরিত একটি আবেদন উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট দাখিল করা হয়। নির্বাহি অফিসার পাপিয়া সুলতানা জানান, তাকে লিখিতভাবে এসব বিষয়ে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য,পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কণ্যা বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী সেখ হাসিনা কলেজটি জাতীয়করণের ঘোষনা দেন। যার পেক্ষিতে ২০১৮ সালের আগষ্ট মাসের ৮ তারিখে কলেজটিকে সরকারি করণের জিও জারি করেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মোজাম্মেল হক।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *