মোহনপুর প্রতিনিধি: তৃতীয় ধাপে মোহনপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ২৮ নভেম্বর। শেষ মহূর্তের প্রচারণায় উত্তেজিত নির্বাচনী এলাকা। এক অন্যের উপর অভিযোগ, হামলা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে কাটছে দিন। পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে ধুরইল ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের এক কর্মীর দোকানে হামলা চালাই বিএনপি সমর্থক আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজিম উদ্দিনের পেটোয়া বাহিনী। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ধুরইল রিফুজি পাড়া মোড়ে প্রতিবাদ সভা করেছে নৌকার প্রার্থী সমর্থকরা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, কাজিম উদিন দীর্ঘদিন ধরে একটি পেটোয়া বাহিনী লালন পালন করে আসছিলেন। যারা নির্বাচনী এলাকায় জনসাধারণের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি করেন। ভয়ভীতি মাধ্যমে নির্বাচনে টিকে থাকতে চাই। এরই ধারাকিতায় বুধবার রাতে নৌকার একনিষ্ট কর্মি ও গ্রাম্য চিকিৎসক মোস্তফার ধুরইল রিফুজি পাড়ায় অবস্থিত ঔষধ ফার্মেসীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ তাকে মারপিট করে চলে যায়। এতে মোস্তফা শারীরিক ও অর্থনৈতিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। বক্তারা এধরণের নেক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ভুক্তভুগি গোলাম মোস্তফা বলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী কাজিমসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের সঙ্গবদ্ধ দল আমার দোকানে হামলা চালিয়ে আমাকে উপুর্যপুরি মারপিট করে। তারা আমার দোকানের ঔষধ পথ্য তসনস করে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠায়। এঘটনায় আমি মোহনপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
মন্তব্য জানতে আনারস প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক কাজিম উদ্দিন বলেন, মোস্তফা একজন আওয়ামী লীগ কর্মী। তারা নিজেরাই এধরণের ঘটনা ঘটিয়ে আমার উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। তবে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করেছি।
প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক মুরাদুল ইসলাম মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাকসহ অনেকে।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্ব:বা/না