তানোরে কৃষকের জমির টাকা ডীপের অপারেটরের পকেটে

রাজশাহী লীড
তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে প্রান্তিক কৃষকদের আলুর জমি লিজের টাকা গভীর নলকূপ (ডীপ) অপারেটরা প্রজেক্ট করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে নিয়ে নিজেদের পকেট ভরছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।কৃষকরা চাষাবাদ করতে চাইলেও অপারেটরদের বাধার মুখে পেরে উঠেনা এমন অভিযোগ যে সকল গভীর নলকূপে মৌসুমি আলু চাষিরা কয়েকশো বিঘা জমি করেন সে সব ডীপে।তারা চাষিদের কাছে না গিয়ে অপারেটরদের সাথে চুক্তি করেন।এতে করে কৃষকরা নিজের জমি থেকেও পারছেন না চাষ করতে, মিলছে না লীজের পুরো টাকা। ফলে কৃষকদের নিয়ে চলছে চরম অরাজকতা।অথচ এই কৃষকদের রক্ত ঘামে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর তাদের নিয়েই এত চিনিমিনি।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, তানোর উপজেলার আলু চাষ হয় প্রচুর। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আলুর বিশাল প্রজেক্ট করা হয়।মৌসুমি আলু চাষিরা জমিতে রোপা আমন ধান রোপনের পরপরেই শুরু হয় জমি লীজের কার্যক্রম। যারা প্রজেক্ট বা গভীর নলকূপের আওতায় একশো,দেড়শো,দুইশো ও আড়াশো তিনশো বিঘা জমি আছে, সেচ যোগাযোগের ব্যবস্হা ভালো  ওইসব ডীপের অপারেটরদের সাথে চুক্তি করে লীজ সেচ ব্যাবদ কয়েক লাখ টাকা দিয়ে দেন।আর অপারেটর টাকা নিয়ে ইচ্ছেমত জমির মালিক প্রান্তিক চাষিদের দেন।কিন্তু কোনভাবেই জমির মালিকেরা জানতে পারেন না কত টাকায় লীজ হয়েছে।এমনকি বুঝতেও দেওয়া হয়না,যখন চাষাবাদের জন্য প্রস্তুতি নেয় তখন অপারেটর কিছু টাকা দিয়ে জমিতে আলু চাষ হবে,লীজ হয়ে গেছে বলে উঠিয়ে দেন।আর নিয়ম দীর্ঘদিনের।এসব কিছু স্হানীয় বিএমডিএ কৃষি দপ্তরের এক প্রকার অসাধু কর্মচারীরাও জড়িত এমন অভিযোগ খোদ কৃষকের। উপজেলার কামারগাঁ ইউপির ছাঔড়,হরিপুর  এলাকায় নয়শো বিঘা আলুর প্রজেক্ট করছেন এগ্রি কনসার্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তার মালিক ডঃ শেক আব্দুল কাদের। গত ২৫ নভেম্বর তানোর চৌবাড়িয়া রাস্তার ছাঔড় বালিকা স্কুলের উত্তরে রাস্তার পশ্চিমে একটি পাকা ঘরের সামনে ট্রাক থেকে সার নামানো হচ্ছিল।সেখানে বসে ছিলেন এক ব্যক্তি তার পরিচয় জানতে চাইলে কোন ধরনের পরিচয় না নিজেকে কৃষিবিদ দাবি করে বলেন প্রতিষ্ঠানের মালিক বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও স্হানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান নয়শো বিঘা জমিতে আলু চাষ করছে।এসব সার তো বিসিআইসির ডিলারদের কাছে থাকে আপনি কিভাবপ পেলেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন টাকা থাকলে সব মিলে,চুরি করে আনছিনা,যে ভাবেই হোক টাকা দিয়েই আনছি।ওই সময় ওই এলাকার কৃষক এসে বলা শুরু করে আমাদেরকে বলা হচ্ছে সার নেই,তাহলে এরা ট্রাকের ট্রাক সার কিভাবে পাচ্ছে।এমনকি এরা যে সব ডীপে আলু করছে লীজের টাকা জমির মালিকদের না দিয়ে অপারেটর কে দেন।তারা আলু চাষের নামে প্রান্তিক চাষিদের শোষণ করছে।এসব বিষয় গুলো বিএমডিএর মিস্ত্রিরা ও কৃষি অফিসের বিএসএফ বা মাঠে যারা কাজ করে তারা জানলেও নিরবে থাকে।
যে সব গভীর নলকূপের আওতায় প্রজেক্ট হচ্ছে তারা কিভাবে জমি লীজ,পানির হার ও কিভাবে পেল সার এসব বিষয়ে জোরালো ভাবে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য দুই দপ্তরকে আহবান জানান সচেতন চাষিরা।আর এজন্যই গভীর নলকূপ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। টাকা যত হোক ডীপ চাই।কারন এই আলুর মৌসুমে অপারেটরেরা লাখলাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান এসব ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।কোন কৃষক লিখিতভাবে অভিযোগ দিলে কঠোর ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *