মোহনপুরে শিক্ষকের অসাদাচরণে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী

স্টাফ রিপোর্টার :মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্যসহ শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি ও পিটিয়ে প্রাইভেট পড়ায় বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষার্থীরা ২৯ ডিসেম্বর (বুধবার) রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে ২০১০ সালে মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন (ভৌত বিজ্ঞান) বিভাগের সহকারী শিক্ষক নুরুল ইসলাম। তিনি পর ক্লাসে নিয়মিত পাঠদানে অনিহাবোধ করেন। ক্লাসে ঢুকেই শিক্ষার্থীদের অশালিন ও রুক্ষ ভাষায় কথা বার্তা বলতেন। পড়াশুনা না পারলেই মারপিট করতেন এবং প্রাইভেট পড়ার পরামর্শ দিতেন। এরপর কিছুদিনের মধ্যেই বিদ্যালয়ের পাশেই খুলে বসেন একটি প্রাইভেট সেন্টার/কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। সেখানে নিয়োমিত ৫০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যাচ করে পড়াতেন তিনি। তার কাছে প্রাইভেট না পড়া শিক্ষার্থীরা ক্লাসে পড়া না পারলেই মারপিটসহ অশালিন ভাষায় গালমন্দ করতেন। বর্তমানে তিনি মোহনপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে প্রাইভেট/কোচিং বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছেন। এরই ধারাবাকিতায় গত শনিবার শিক্ষক নুরুল ইসলাম আমাদের প্রাইভেট সেন্টারে ডেকে নিয়ে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাধ্য করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হলে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বেদম মারপিট করে বিবস্ত্র করেন। শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে নিজ নিজ অভিভাবকদের বিষয়টি অবগত করে এবং ব্যবস্থাগ্রহণের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিয়োগ করে।

ইতিপূর্বে সহকারী শিক্ষক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরনের অভিযোগ রয়েছে। এজন্য তাঁর বিরুদ্ধে উপ-পরিচালক (মাউশি) রাজশাহী অঞ্চল বরাবর অভিযোগ দায়ের হয়।

মোহনপুর সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী বলেন, আমরা দরিদ্র ঘরের সন্তান। মা-বাবারা এমনিতেই লেখাপড়ার খরচ চালতেই হিমসিম খান। এরপরও স্যার আমাদের বিভিন্ন সময়ে চাপে রেখে প্রাইভেট পড়তে বলেন। গত শনিবার আামাদের ডেকে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাধ্য করার চেষ্টা করেন। রাজি না হলে তিনি আমাদের আমাদের মারপিট করে বিবস্ত্র করেন। এ জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।

মুঠোফোনে কথা বলা হলে শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, আমি প্রাইভেট পড়ালেও প্রাইভেট পড়ার জন্য মারপিট করিনি। কেউ অভিযোগ করলেও তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত আমি তা জানিনা।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ আমলে নিয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টির বিরুদ্ধে আইনুগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে নির্দেশ দেওয়া হবে।

 

স্ব:বা:না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *