রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মোবাইল নাম্বার ক্লোন করে ৩ ইউএনওর সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল জলিলের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করেছে একটি প্রতারক চক্র। চক্রটি ডিসির সরকারি নম্বরটি ক্লোন করে রাজশাহীর তিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ফোন করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে।

শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই প্রতারক চক্রটি ডিসির ক্লোন করা ফোন থেকে জেলার দুর্গাপুর, পবা ও বাঘার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ফোন দিয়ে প্রতারণার চেষ্টা করে। তবে বিষয়টি বুঝতে পেরে কেউই প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দেননি।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক তার ফোন ক্লোন করে অধীনস্তদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় চেষ্টার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) পাপিয়া সুলতানা জানান, ডিসির সরকারি নম্বর থেকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ফোন করা হয়। ফোন করে কলার একটা মোবাইল নম্বর দিয়ে বলা হয় যে, সেটা একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার নম্বর। ওই নম্বরে যেন এক্ষুনি যোগাযোগ করি ও নির্দেশমতো টাকা পাঠিয়ে দিই। কিন্তু কণ্ঠস্বর এবং কথা শুনেই ফোন নম্বর ক্লোন করার বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে লাইন কেটে দেই। এটা না করলে নিজের নম্বরও ক্লোন হওয়ার ঝুঁকি ছিল।

একইভাবে ডিসির ক্লোন করা নম্বর থেকে দুর্গাপুর ও পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন করা হয়। তারাও বিষয়টি বুঝতে পেরে ফোন সংযোগ কেটে দেন। পরে বিষয়টি তারা ডিসিকে জানান।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান, রাজশাহীর তিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এই ধরনের ফোন পাওয়ার বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন। তবে কেউ শেষ পর্যন্ত প্রতারিত হননি। অন্য কেউ প্রতারিত হয়েছেন এমন খবরও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি রাজশাহীর পুলিশ সুপারের কাছে (এসপি) অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ প্রতারক চক্রকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

এদিকে ডিসির ফোন ক্লোন চক্রকে ধরতে অভিযান চলার কথা নিশ্চিত করে রাজশাহীর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, জেলা প্রশাসক তাকে বিষয়টি জানানোর পর থেকেই এই প্রতারক চক্রকে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করেছে। দ্রæত সময়ের মধ্যেই এই চক্রটিকে পুলিশ ধরতে সক্ষম হবেন বলে আশা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নাটোর জেলার লালপুরসহ আশপাশের এলাকায় ফোন ক্লোন করে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে ইমো হ্যাক করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অনেক অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে হ্যাকার চক্রের ৩২ জনকে পুলিশ বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনেছেন বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। এই কাজটিও ওইসব এলাকার প্রতারক চক্র করে থাকতে পারেন বলে তিনি জানান।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *