মানুষ গড়ার কারিগর যখন গাছ খেকো

রাজশাহী লীড
তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার মানুষ গড়ার কারিগর  প্রভাবশালী ও গাছ খেকো প্রভাষক খলিলুর রহমানে বিরুদ্ধে পীর স্হানের শত বছরের গাছসহ অন্তত ত্রিশ টির গাছ গিলে খেয়ে ওই জায়গা দখল করে নিজ লোকদের কবর দিতে দিলেও অন্যদের দিতে দেন না বলেও গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে তার । তানোর পৌর এলাকার ভদ্রখন্ড গ্রামে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে  গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে ।  ১৭ জানুয়ারি সোমবার ভদ্রখন্ড গ্রামবাসী বাদি হয়ে কলেজ শিক্ষক খলিলুর রহমানকে বিবাদী করে তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও), সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও থানার অফিসার ইন্চার্জের কাছে লিখিত ও বন বিভাগ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রভাষক খলিলের এমন ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করলে তার ভয়ে কেউ মুখ খুলেনা।কিন্তু এবার খলিল কে আইনের আওতায় আনতে গ্রামবাসীর মিলে অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, তানোর পৌরসভার ভন্দ্র খন্ড মৌজার অন্তর্ভুক্ত  আরএস ৬৪ খতিয়ানের ২৫০ নম্বর   ৬৪ আরএস দাগে ১২ শতক জমি রয়েছে  । আরএস খতিয়ানে সুনিদ্রিষ্টভাবে বলা হয়েছে এ ১২ শতক সম্পত্তি পীরস্হান যা কেবল মুসলিম জনসাধারণের ব্যবহার্য কোনো অবস্থথাতেই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার  যাবে না। কিন্ত্ত ভদ্রখন্ড গ্রামের মৃত আব্দুল মন্ডলের পুত্র ও কালীগঞ্জহাট ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক গাছ খেকো ভুমিদস্যু খলিলুর রহমান গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে জবরদখল ও সম্পত্তির উপর থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা মুল্যের বিভিন্ন প্রজাতির তাজা গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। এঘটনায় গাছ খেকো খলিলের শাস্তির দাবিতে গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বিরাজ করছে উত্তেজনা। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বা খুন-জখমের মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় ভদ্রখন্ড গ্রামের ভিতরে লাটা পুকুর নামক জায়গাটি পিরস্হান হিসেবে খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত।সেই জায়গাটিতে গাছ কাটা বিশাল বিশাল গর্ত দেখা গেছে।কয়েকজন ব্যক্তি এসে জানান এখানে প্রায় শত বছর বয়সী গাছও রক্ষা পায়নি।কিছু কবরও দেখা যায়, তারাই জানান সবার ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও প্রভাষক খলিলের আত্মীয় স্বজনদের কবর।তারা কাউকে ব্যবহার করতে দেয় না।একজন প্রভাষক এসব কাজ করলে সমাজ কোথায় দাড়াবে।
সেখান থেকেই প্রভাষক খলিলুর রহমানে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি কলেজে  এখানে কাগজ নিয়ে আসিনি।পীরস্তানের জায়গার গাছ  কিভাবে কাটলেন জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে কাগজ দেখানোর তালবাহানা করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি অভিযোগ দেখিনি।দেখে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *