তানোর মহানগর ক্লিনিকের ভুল সিজারে রোগীর মৃত্যু, তোলপাড়

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর পৌর সদরে অবস্হিত মহানগর ক্লিনিকের ভুল সিজারে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিজারের সময় ভুল করে নাড়ি কেটে দেওয়ার কারনে ব্লাড বন্ধ না হওয়ায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন নিশ্চিত করেন। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের তৃতীয়  সপ্তাহের দিকে উপজেলার মুন্ডুমালা উত্তর পাড়া গ্রামে ঘটে রয়েছে মৃত্যুর ঘটনাটি। এঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, সেই সাথে একের পর এক রোগী মৃত্যুর জন্য ক্লিনিক বন্ধের দাবি তুলেছেন স্হানীয়রা।
এ বিষয়ে সিজার করা ব্যক্তি মহানগর ক্লিনিকের ম্যানেজার মামুনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান গুবিরপাড়া আসেন সব বলছি। আর এসব বিষয়ে জানতে হলে সামনাসামনি এসে দেখা করেন। আপনি ডাক্তার না হয়ে কি ভাবে সিজার করলেন জানতে চাইলে তিনি জানান সিজার করতে ডাক্তার লাগেনা অভিজ্ঞতা আছে করেছি আপনার কোন সমস্যা বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, উপজেলায় মুন্ডুমালা উত্তর পাড়া গ্রামেের আল মামুনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম গত ডিসেম্বর মাসে  প্রসব বেদনা শুরু হলে মহানগর ক্লিনিকে ভর্তি হন। ভর্তির পর কোন ধরনের পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই ম্যানেজার মামুন সিজার করেন। কিন্তু সিজার করতে গিয়ে ভুল করে নাড়ি কেটে ফেলে। এরপর থেকে ব্লাড নামতেই থাকে। রক্ত বন্ধ না করে ক্লিনিক থেকে জোর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় আনোয়ারা বেগমকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। সেখানে পরিক্ষা করে ডাক্তার বলেন সিজার করার সময় ভুল করে নাড়ি কেটে ফেলেছে। রোগিকে বাচানো অসম্ভব বলে কিছু ঔষুধ দেন।রাজশাহী থেকে আসার কয়েকদিন পর বাচ্চাকে রেখে মারা যান মা আনোয়ার বেগম।
স্বামী আল মামুন জানান আমার স্ত্রীর মহানগর ক্লিনিকের ভুল সিজারের জন্যই অকাল মৃত্যু হয়েছে ।তাদেরকে কোন কথা বললেই উল্টো আমাকেই নানা ধরনের হুমকি দিয়ে বলছেন আল্লাহ তার এভাবে মৃত্যু লিখেছেন মৃত্যু হয়েছে। কেউ কি সারাজীবন বাঁচবে।
এবিষয়ে জানতে মহানগর ক্লিনিকের মালিক হেলাল উদ্দিনের  ০১৭১১-৮৩৯৬২৩ মোবাইল নম্বরে ফোন দেওয়া হলে তার মিসেস ধরে বলেন তিনি ঘুমাচ্ছেন কি সমস্যা বলতে পারেন। ভুল সিজারে রোগী মারা গেছে, তিনি জানান যে রোগী মারা গেছে তার ডিসেম্বর মাসে সিজার হয়েছে।ক্লিনিক থেকে রিলিজ হওয়ার পর মারা যান।ওই সিজারের রোগীর নাড়ি কেটে ফেলা হয়েছিল ব্লাড বন্ধ পর্যন্ত রোগী রাখা হয়নি কি জন্য ও শহরের ডাক্তার বলেছে ভুল করে নাড়ি কাটা হয়েছে রোগী বাচবে কিনা সন্দেহ এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান রোগীর পরিবারের লোকজন রিলিজ নিয়েছে ও সিজারের পর পাঁচ সাতদিন ব্লাড নামবে। তিনি আরো জানান ঘুম থেকে ওঠলে যোগাযোগ করতে বলছি।
এদিকে ক্লিনিক ম্যানেজার আরেক স্হানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মোবাইল করে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য ক্লিনিকে ডাকেন।
এই ম্যানেজার মামুনের বিরুদ্ধে রোগী মেরে ফেলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
স্হানীয় বেশ কিছু ব্যক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন মহানগর ক্লিনিকের ম্যানেজার মামুন নিজেই এক বড় ডাক্তার। এসব ঝামেলা থেকে ক্লিনিক যেন মুক্ত থাকে মুলত এজন্যই তাকে দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে। আর তারও বাড়ি ক্লিনিক সংলগ্ন আমশো গ্রামে।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাকিবুল হাসান জানান, এঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত  ব্যবস্হা নেওয়া হবে।স্ব.বা/

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *