তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পৌর এলাকার ঐতিহ্য বাহী তালন্দ আনন্দ ললিত মোহন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ বিষ্ণুপদ সরকার গোপণে অধিক টাকার বিনিময়ে কর্মচারী নিয়োগের চেষ্টা করেও অবশেষে পরিক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন অধ্যক্ষ নিজেই। গত সোমবার ছিল নিয়োগ পরিক্ষার দিন। কিন্তু রোববার দুপুরের আগে পরিক্ষা স্থগিত হয়েছে বলে জানান বিষ্ণুপদ সরকার। এদিকে তালন্দ কলেজ সংলগ্ন এলাকার দেবরাজ নামের একজনকে চাকুরি দেওয়ার জন্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন অধ্যক্ষ। এখবর ছড়িয়ে পড়লে অন্য আবেদন কারীদের বাঁধার মুখে অবশেষে নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হন তিনি।এতে করে অভিভাবক মহলসহ স্হানীয় দের মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে, সেই সাথে অধ্যক্ষ বিষ্ণুপদ সরকারের এমন কান্ডে তার অপসারণেরও দাবি তুলেছেন ।
সুত্র জানায়, স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উপজেলার দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ, কলেজ এলাকার সুধিমহল কাউকে না জানিয়ে অধ্যক্ষ তার পচ্ছন্দের প্রার্থী নিয়োগ দিতে গোপণে কর্মচারী (সহকারী লাইব্ররিয়ান) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ওই পদে নিয়োগ পেতে ১৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। কিন্ত তালন্দ কলেজপাড়ার সুব্রতের পুত্র দেবরাজকে নিয়োগ দিতে অধ্যক্ষ মরিয়া হয়ে উঠে। সুত্র জানায় অধ্যক্ষ প্রায় ১৫ লাখ টাকা আর্থিক সুবিধা নিয়ে ওই পদে দেবরাজকে নিয়োগ করার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য করেন। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়লে চাকরি প্রত্যাশীরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের জন্য স্থানীয় সাংসদ ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর অভিযোগ করেন। ফলে অধ্যক্ষ বাধ্য হয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বিষ্ণুপদ সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছিলেন, কিন্ত্ত এমপি সাহেব নিষেধ করায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।তিনি বলেন, এমপি সাহেবের উচিৎ হয়নি কলেজের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা এটা ক্ষমতার অপব্যবহার।
স্ব.বা/ও