বাঘা প্রতিনিধি : ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রেখে মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে যান রাজশাহীর বাঘার শামিম হোসেন। ওষুধ কিনে এসে দেখেন তার অটো রিকশাটি নেই। সেটি চুরি হয়ে গেছে। এক নিমেষেই তিনি নিঃস্ব হয়ে গেলেন। রোববার বিকালে রাজশাহীর বাঘা মাজার গেটের রুহুলের চায়ের দোকানের সামনে থেকে তার অটোটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। তারপর তিনি থানায় অবগত করে অটো উদ্ধারের জন্য এলাকায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। বুধবার বিকাল পর্যন্ত শেষ সম্বলটুকু উদ্ধার করতে না পেরে হতাশায় পড়ে আছেন।
জানা যায়, শামিম হোসেন ধার-দেনা করে একটি অটোরিকশা কিনে চালাতেন। এ থেকে তার যা আয় হতো প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ মা, স্ত্রী, দুই মেয়ে নিয়ে কোনোমতে সংসার পরিচালনা করতেন। রোববার থেকে তার আয়ের উৎসটুকু হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। শামিম হোসেন উপজেলার বাঘা নতুনপাড়া গ্রামের মৃত মনির এর ছেলে।
এ বিষয়ে শামিমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি গরিব মানুষের ছেলে আয়ের উৎস গাড়িটি সম্বল ছিল। সেটাও চুরি হয়ে গেল ধার-দেনা করে একটি অটো কিনে ছিলাম। এক বছর না হতেই আমার গাড়ির সব ব্যাটারি গুলোও রাতে চুরি হয়ে যায়। পরে কিস্তি তুলে আবার ব্যাটারি কিনে গাড়ি চালায়। কিন্তু রোববার বিকালে বাঘা মাজার গেটের সামনে রেখে মায়ের জন্য ওষুধ কিনে ফিরে দেখি অটো আর নেই। আমি ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে এখন বিপাকে রয়েছি।
অপরদিকে বাঘা পৌরসভার চত্বর থেকে শাহিন আলম বাবুলের সিটি ১০০ সিসি বাজাজ মোটরসাইকেল হারিয়ে গেছে। এ বিষয়টি তিনি থানায় অবগত করেছেন। কিন্তু মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করতে পারেননি পুলিশ। তিনি উপজেলার নিশ্চিন্তিপুর গ্রামের মৃত রওশন মিঞার ছেলে।
বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেনে বলেন, এ বিষয়ে আমাকে অবগত করেছেন। আমি বিভিন্ন থানায় জানিয়েছি। অটো এবং মোটরসাইকেল উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
স্ব.বা/বা