তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে খাস জায়গার মুকুলে ভরা আম গাছ কর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাধাইড় ইউপির ঝিনাখৈর ডাকাত মারী পাড়ায় ঘটেছে এমন অমানবিক ঘটনা।এঘটনায় ওই এলাকাসহ আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ, সেই সাথে গাছ বিক্রির মুল হোতা নামধারী স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ও আলমগীরের চরম শাস্তির দাবি উঠেছে জোরালোভাবে। এদিকে স্হানীয় বাসিন্দাদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্ডুমালা তহসিলদার গাছ কর্তন বন্ধ করে দেন।কিন্তু মুকুল আসা দশটির মত গাছ কাটলেও রহস্য জনক কারনে তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ হয়েছেন স্হানীয়রা।
রবিবার সন্ধ্যার আগে ঘটনাস্হলে গিয়ে দেখা যায়, মাঝে রয়েছে মাটির রাস্তা,পূর্ব দিকে খাস পুকুর। মাটির রাস্তার পশ্চিমে রয়েছে একটি টিনের বাড়ি।রাস্তার দুপাশে মুকুলে ভরপুর অর্ধশতেরও বেশি আম গাছ রয়েছে। সেখানে কিছু কিশোর এবং মহিলারা এই প্রতিবেদককে দেখে কাছে আসেন।তাদের কাছে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে, তারা জানান গাছগুলো কেটেছেন জয়নাল আবেদিন পরিচিত ঝুনু নামের এক ব্যক্তি।কিন্তু কয়েক দিন ধরে গাছ কাটা বন্ধ আছে।প্রতিটি গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। তারপরও গাছগুলো কেটে মরুপ্রান্তর করা হয়েছে। গাছগুলোই পাড়ার মানান হিসেবে ছিল।সব সময় পাখির কলহ লেগেই থাকত। ঝিনাখৈর মোড়ে রয়েছে ঝুনুর দোকান। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় খাস জায়গার গাছ কিভাবে বিক্রি এবং কাটা হল তিনি জানান পুরোটা খাস না।গাছগুলো বিক্রি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল। তিনি কার কাছে কিভাবে বিক্রি করে কাটছেন আমি কিছুই জানিনা। ৫৪ টির মত গাছ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে শফিকুল এর বেশি জানিনা।এর ফাঁকেই আসেন আরেক নামধারী নেতা আলমগীর। তিনি জানান ঝুনু আমার আপন খালু।তিনিই গাছগুলো লাগিয়েছেন।কিছুটা খাস আছে।আমের জাত ভালো না এজন্য বিক্রি করেছে।আর আমার খালু বয়োজ্যেষ্ঠ সবকিছু শফিকুল করেছেন।
সোমবার সকালের দিকে শফিকুলের ০১৭৩৫-৯৪৬৫১৬ মোবাইল নম্বরে কথা বলা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার জায়গা, আমি কেন গাছ কটতে বলব বলে এড়িয়ে যান।
মুন্ডুমালা তহসিল অফিসের তহসিলদার রবিউল জানান, রোববারে ঘটনাস্হলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। জায়গা মামার পরে বোঝা যাবে।কতদিনের মধ্যে মাপ হবে এবং যে কয়টি গাছ কাটা হয়েছে এর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্হা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান স্যারকে বলা হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
স্ব.বা/বা